হয়ে যান সতর্ক! সৌরজগতের এই গ্রহেই রয়েছে এলিয়েন? চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল NASA

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভিনগ্রহী তথা এলিয়েনদের (Ailen) প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে এলিয়েনদের উপস্থিতির প্রসঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে, এবার সৌরজগতে এলিয়েনদের উপস্থিতির বিষয়ে শুক্রবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র বিজ্ঞানী ডক্টর মিশেল থ্যালার (Dr. Michelle Thaller)। তিনি দাবি করেছেন যে, শুক্র গ্রহে ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থাৎ, তার দাবি অনুযায়ী, শুক্র গ্রহে এলিয়েনদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৪৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। পাশাপাশি সেখানকার পরিবেশও খুব আম্লিক।

এলিয়েন সম্পর্কে এই নতুন তত্ত্বটি ডাঃ মিশেল থ্যালার প্রস্তাব করেছেন। তিনি আমেরিকার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, সেখানকার কার্বন-ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ বায়ুমণ্ডলে ইতিমধ্যেই “জীবনের সম্ভাব্য লক্ষণ” লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি তাঁরা এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত।

Are there aliens on this planet of the solar system

এই প্রসঙ্গে দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ থ্যালার বলেন, “আমরা শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য লক্ষণ দেখতে পাই। আমি কখনোই শুক্র গ্রহে এমন আশা করিনি। কিন্তু আমরা শুক্রের বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু দেখতে পাই যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি বলে মনে হয় (ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি যেকোনো গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়)।”

আরও পড়ুন: “৭ ফুট উচ্চতা, হলুদ চোখ…”, অবশেষে পৃথিবীতে ধরা দিল এলিয়েন? ঘুম উড়েছে এই এলাকার বাসিন্দাদের

শুক্র গ্রহে মানুষ টিকে থাকতে পারে না: মূলত, পৃথিবীর মতো অনুরূপ গঠন এবং আকারের কারণে, শুক্রকে  “পৃথিবীর যমজ” বলা হয়। এদিকে, কলেজ অফ লন্ডন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ডমিনিক পাপিনো, জানিয়েছেন যে, ডঃ থ্যালারের ধারণাগুলি বাস্তবসম্মতভাবে কল্পনা করা কঠিন। মেলঅনলাইনের সাথে কথা বলার সময় অধ্যাপক পাপিনো বলেন, “জীবন-সম্পর্কিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য তরল অপরিহার্য। অতএব, বহির্জাগতিক জীবন খুঁজে পেতে, আমাদের তরল বা জল খুঁজে বের করতে হবে এবং বহির্জাগতিক জীবাশ্ম খুঁজে পেতে আমাদের পাললিক শিলাগুলি সন্ধান করতে হবে. যা অতীতে তরল পদার্থের সাথে যুক্ত ছিল।”

আরও পড়ুন: “পৃথিবীকে ছিনিয়ে নিতে আসছে এলিয়েন”! চাঞ্চল্যকর দাবি ২৬৭১ সাল থেকে ফিরে আসা “টাইম ট্রাভেলার”-এর

শুক্র গ্রহ অত্যন্ত গরম: উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহে জীবের বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। কারণ সেখানকার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। তবে, অতীতে সেখানে জল থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এমনকি, সেখানে জীবাশ্মের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। কিন্তু সমস্যা হল সেখানকার পুরো পৃষ্ঠটাই গত কয়েক মিলিয়ন বছরে আগ্নেয়গিরি দ্বারা আবৃত ছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর