বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকে (KK) সঙ্গীতপ্রেমীদের মনের কতটা জুড়ে ছিলেন তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে গত কয়েকদিনে। বলিউড গায়কের অকালমৃত্যুর পর যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তো হিন্দি গান নয়। ভাষার বিভেদ ঘুচিয়ে তামিল, কন্নড়, তেলুগু, বাংলা, মরাঠি ভাষাতেও গান গেয়েছিলেন কেকে। সেই মানুষটা এমন আচমকা মৃত্যুতে অনুরাগীরা তো বটেই, শোকে আচ্ছ্বন্ন হয়ে রয়েছেন শিল্পীরাও।
সম্প্রতি ভ্যানকুভারে কনসার্ট ছিল অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) এর। প্রয়াত গায়কের স্মরণে তাঁর গাওয়া বহুল জনপ্রিয় গান ‘ইয়ারো দোস্তি’ গেয়ে শোনান বাঙালি গায়ক। অরিজিতের কণ্ঠে কেকের গান শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকেই। এই গানগুলোর মধ্যে দিয়েই তো জীবিত রয়েছেন সবার প্রিয় কেকে।
অনেকেই জানেন না, কেকে এবং অরিজিতের সম্পর্ক কিন্তু বহুদিনের। তখনো অরিজিৎ পেশাদার গায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে রিয়েলিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’এ অংশ নিয়েছিলেন। সেই শোতে বিচারকের আসনে ছিলেন কেকে। শো জিততে পারেননি অরিজিৎ। কিন্তু বিধাতা তাঁর জন্য অন্য রকম ভবিষ্যৎ লিখেছিলেন।
এদিন মঞ্চে গান গাইতে গিয়ে অবেগঘন হয়ে পড়েন অরিজিৎও। তিনি বলেন, কেকের অকালমৃত্যুর খবর শোনার পর তাঁর গান গাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর কাছে। কেরিয়ারে কেকের দেওয়া পরামর্শ কতটা কাজে লেগেছিল তাঁর সেটাও এদিন জানান অরিজিৎ। তিনি এও বলেন, সম্ভব হলে শুধু কেকের গানই গাইবেন তিনি এদিন।
কিছুদিন আগে জাতীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) বাংলা গান গেয়েছিলেন অরিজিৎ। প্রয়াত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একের পর এক গান গেয়েছেন অরিজিৎ। সেখানে যেমন তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে ‘নাম গুম যায়েগা’, তেমনি সুরসম্রাজ্ঞীর গাওয়া ‘হায় হায় প্রাণ যায়’, ‘না মন লাগে না’, ‘দে দোল দোল দোল, তোল পাল তোল’, ‘যা রে যারে উড়ে যারে পাখি’র মতো আইকনিক গানও গেয়েছেন অরিজিৎ।
হিন্দি, বাংলা, মরাঠি গান দিয়ে সুরসম্রাজ্ঞীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন শিল্পী। জাতীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর কণ্ঠে বাংলা গান শুনে অবাক দর্শকরা। অনেকে কটাক্ষ করেছেন, ভিডিও বানিয়ে ‘বাংলা গান বাংলা শিল্পীদের পাশে দাঁড়ান’ বলে আর্জি না জানিয়ে, অন্য শিল্পীকে ‘ছোট’ না করেই দিব্যি বাংলা গান গাইলেন অরিজিৎ।