বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুদিন অন্তর অন্তর নেটমাধ্যমে বিতর্কের সম্মুখীন হন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। বহুবার ‘অহংকারী’, ‘উদ্ধত’ তকমা পেয়েছেন তিনি। নেটনাগরিকদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহারই বারবার বিপদে ফেলেছে সুদীপাকে। তবে এবারে খাবার ডেলিভারি বয়দের অসম্মান করে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। নেটিজেনরাও সুদীপাকে কথা শোনানোর কোনো সুযোগই ছাড়ছেন না।
শুধু নেটনাগরিকরা নন, বিনোদুনিয়ার একাধিক তারকাও মুখ খুলেছেন সুদীপার বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে একজন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)। শিশুশিল্পী হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় অরিত্র এখন মুম্বইয়েও কাজ করছেন। সুদীপাকে সরাসরি ‘অহংকারী মানসিকতা’র মানুষ বলে কটাক্ষ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পালটা সংবাদ মাধ্যমের কাছে সুদীপা প্রশ্ন রাখেন, “অরিত্র কে? জীবনে কী করেছে যে ওর কথা শুনতে হবে? বড়দের সম্মান দিতে জানে না। আমরা কখনোই আগের প্রজন্মের সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহসও পাইনি।” সঙ্গে তিনি আরো বলেন, “আমি যতদূর জানি, অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিস গাড়ি আটকালে ওর বাবা মা-ই বলতেন, ভেতরে অরিত্র আছে।”
এখানেই থামেননি সুদীপা। তিনি দাবি করেন, অরিত্র নাকি এখন কিছু করেন না। তাই তাঁর নাম নিয়ে নিজের পেজের সক্রিয়তা বাড়াতে চাইছেন। বলা বাহুল্য, সুদীপার এমন অভিযোগের পর মুখ বন্ধ রাখেননি অরিত্র। বরং পালটা প্রত্যেকটা দাবি, অভিযোগের যোগ্য জবাবে চুপ করিয়ে দিয়েছেন সুদীপাকে।
নিজের পেজে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা। সেখানে তিনি বলেন, সুদীপা শুধু তাঁকেই আক্রমণ করেননি, তাঁর বাবা মাকে পর্যন্ত টেনে এনেছেন। সুদীপা দাবি করেছেন, অরিত্রর ছোটবেলায় ট্র্যাফিক পুলিসের কাছে সুবিধা নিয়েছেন তাঁর বাবা মা।
অরিত্রর স্পষ্ট কথা, তিনি সুদীপা বা তাঁর পরিবারকে তো কোনো খারাপ কথা বলেননি। মানসিকতাটাকে বলেছেন, অহংকারী মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন। এরপরেই অরিত্র বলেন, তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্ট অডিটর। তাই তাঁর ছেলের অভিনয়ের সাফল্য দিয়ে অন্তত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তাঁর বাবার কিছুই যায় আসেনা।
শুধু তাই নয়, সুদীপা এখন নতুন নতুন শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন। কিন্তু অরিত্রর মায়ের বিয়ের আগে থেকে ২৫ বছরের পুরনো শাড়ির দোকান রয়েছে। নাচের প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁদের। অরিত্রর দাদু, মেসো ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত, মাসিও সেখানকার মেডিক্যাল ইনচার্জ। তাই তাঁর রোজগারে অন্তত তাঁর পরিবার নির্ভরশীল নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অরিত্র।
https://www.facebook.com/arithrough/videos/754007105901859/
পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার যোগ্যতা দিয়ে অনেক বেশি রোজগারের ক্ষমতাও যে তিনি রাখেন সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন অরিত্র। কারোর সম্পর্কে না জেনেশুনে সামাজিক অবস্থান নিয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভাল, সুদীপার উদ্দেশে বক্তব্য অরিত্রর। সেই সঙ্গে সুদীপার ‘নাম ভাঙিয়ে প্রচার পাওয়া’ মন্তব্যের উত্তরে অরিত্র জানিয়েছেন, ‘ক্র্যাশ কোর্স’ নামে একটি হিন্দি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি সদ্য। এছাড়াও আরো অনেক কাজ কিন্তু তাঁর হাতে রয়েছে। তিনি বেকার নন।