পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) নির্বাচন হবে আর কট্টরপন্থীরা উপদ্রব চালাবে না, এমনটা কখনোই সম্ভব নয়। করিমপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে কট্টরপন্থী জেহাদি বাহিনী মাঠে নেমে পড়ে। করিমপুরে একটা বড়ো ঘটনা ঘটতে পারে তার আভাস সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আর একটু বেলা বাড়তেই জেহাদি বাহিনী উৎপাত শুরু করে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমন করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। তারিকুল শেখ, হাবিবুর রহমান শেখ, মাসাদুল আলম, কালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানো হয়।
আক্রমনের সময় পুলিশ ও কেন্দ্রবাহিনী দুই উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শক হয়ে থেকে যায়। দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর বিদ্যালয়ে এসে বেশকিছু সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের। বুথের মধ্যে এক পোলিং এজেন্টের কাছে দূটি ফোন, বুথ এর পাশের ঘরে ১১ জন মিলে রান্না করতেও দেখেন জয়প্রকাশ। আর এর প্রতিবাদ করা মাত্র পরিস্থিতি ঊত্তপ্ত হয়ে উঠে। গুন্ডা বাহিনী জয়প্রকাশকে মারধর করতে শুরু করে। কিল, চড় মেরে তাকে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।
তারিকুল শেখ এসে লাথি মেরে জয়প্রকাশকে ফেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি। তবে ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে যারা দর্শক হয়ে ছিল, তারা কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ঘটনার পেছনে বিজেপির নিজস্ব ষড়যন্ত্র রয়েছে। মানুষের সহানুভূতি পেতে বিজেপি নিজেই এমন কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
করিমপুরে কট্টরপন্থীরা বড়ো সংখ্যায় রয়েছে, তাই নির্বাচনে সেখানের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছিল। জয়প্রকাশকে মারধর করার পর বিজেপি নেতাদের গাড়ি আটক করার কাজে নেমেছিল গুন্ডাবাহিনী। তবে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাড়া খেয়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়।