বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রত্যেকটি মন্ডপেই দেখা যেত মাটির দুর্গা প্রতিমা ও গহনা। প্রতিমার রূপসজ্জায় ব্যবহার করা হত মাটির কাজ। পরবর্তীতে সোলা, থার্মোকল, জরি, পুঁথি, চুমকি কিংবা বুলানের কাজের দেখা মিলত। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক হয়েছে মৃৎশিল্পীদের শিল্পকর্ম।
নয়া পথেই উপার্জন হবে শিল্পীদের (Artist)
তার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিমার পিছনে চালি, সাজসজ্জা কিংবা পোশাকেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। সর্বক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত আধুনিকতার প্রলেপ পড়তে শুরু করেছে বেশ কয়েক বছর ধরে। মৃৎশিল্পের সাথে যুক্ত নন এমন ব্যক্তিরাও বর্তমানে দক্ষ হাতের কাজের ছাপ রাখছেন প্রতিমা সুসজ্জার ক্ষেত্রে। স্থানীয় তো বটেই, বিদেশ থেকেও এইসব শিল্পীদের (Artist) সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুন : ‘পুজোয় যুক্ত থাকব, উৎসবে নয়’! আরজি কর কাণ্ডের আবহে জনতাকে বিশেষ ‘বার্তা’ সৌমিত্রর
নদিয়ার শান্তিপুর শহরে বৈষ্ণব পাড়ায় অমল কুন্ডুর তত্ত্বাবধানে এই ধরনের হাতের কাজ শিখছেন অসংখ্য যুব সম্প্রদায়ের শিল্পীরা (Artist)। অমল কুন্ডুর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করে বর্তমানে মোটা অর্থ উপার্জন করছেন প্রীতম খাঁ। প্রীতমের হাতের কাজের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূর পর্যন্ত। বর্তমানে স্নাতক স্তরের শেষ বর্ষের ছাত্র প্রীতম। প্রীতমের বাবা যুক্ত ছিলেন তাঁত শিল্পকর্মের সাথে।
বাড়ির আর্থিক অবস্থা করোনা মহামারীর সময় অত্যন্ত খারাপ হতে শুরু করে। সেই সময় প্রীতম রোজগারের আশায় খুঁজে নেন উপার্জনের (Income) এই বিকল্প পথ। ছোটবেলা থেকেই আঁকার সাথে যুক্ত ছিলেন প্রীতম। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই প্রীতম যোগাযোগ করেন অমল কুন্ডুর সাথে। অমল কুন্ডুর তত্ত্বাবধানে তিন বছর কাজ করার পর নিজের বাড়িতেই কারখানা খুলেছেন প্রীতম।
আরোও পড়ুন: একী অবস্থা! বাজার থেকে হু হু করে কমছে ২০০,২০, ১০ টাকা! ফের কী নোটবন্দির পরিকল্পনা সরকারের?
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে প্রীতমের হাতের কাজ। রাজ্যের প্রায় আটটি জায়গা থেকে দুর্গাপুজোর অর্ডার পেয়েছেন প্রীতম। তারপর রয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর অর্ডার। একটি লক্ষ্মী প্রতিমার সাজসজ্জার অর্ডার পেয়েছেন বাঁকুড়া (Bankura) থেকে। কিছুদিন আগে একটি সংস্থা থেকে কাজের অফার পান প্রীতম। তবে সেই কাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
প্রীতম জানিয়েছেন, তিনি এই কাজেই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চান। শুধু পুজো নয়, বিভিন্ন নাটক ও নাচের দলের শিল্পীদের (Artist) মাথার মুকুট, বাজুবন্ধ, কোমরবন্ধ , বিভিন্ন গহনা তৈরিও শুরু করে দিয়েছেন প্রীতম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ধরনের কাজ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। অনেকেই এই ধরনের কাজ করে পেয়েছেন কর্মসংস্থানের দিশা।