বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত বছরগুলিতে করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর ফলে কার্যত বিপর্যস্ত হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। এমনকি, অদৃশ্য এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। শুধু তাই নয়, এখনও বিশ্ব জুড়ে চলছে এই সংক্রমনের রেশ। এমতাবস্থায়, ফের আরও একটি বিপজ্জনক মহামারীর প্রসঙ্গ এবার উঠে এসেছে। সর্বোপরি, বিশ্বের অন্যতম ভবিষ্যতদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গা (Baba Vanga) অন্তত এইরকমই এক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আর সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, চলতি বছরেই নাকি শুরু হবে সেই মহামারীর প্রভাব।
উল্লেখ্য যে, বুলগেরিয়ার ভবিষ্যতদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গা তাঁর অনুগামীদের কাছে ৫০৭৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তাঁকে “বলকানের নস্ট্রাদামুস”-ও বলা হয়। এছাড়াও, বাবা ভাঙ্গা চেরনোবিল বিপর্যয় সহ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি এবং প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর মত একাধিক ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
এমতাবস্থায়, চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২২ নিয়েও তিনি বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী জানিয়েছিলেন। যেগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই কয়েকটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মূলত, ২০২২ সালের জন্য তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এশিয়ার অনেক দেশে এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। যা একেবারে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এর পাশাপাশি বাবা ভাঙ্গা একাধিক অঞ্চলে খরার পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন। এদিকে, বর্তমানে ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তীব্র খরা চলছে।
রয়েছে আরও ভবিষ্যদ্বাণী: এছাড়াও, বাবা ভাঙ্গা বলেছিলেন যে, ২০২২ সালে মানুষ মোবাইল স্ক্রিনে আগের থেকে ঢের বেশি সময় ব্যয় করবে। এমতাবস্থায়, আজকাল বিশ্বে যেভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে, তাতে তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পূর্ণ সত্যি হয়েছে। এর পাশাপাশি, তিনি আরও একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেন যে, কোনো হিমায়িত ভাইরাস দ্বারা ফের একটি মহামারীর সৃষ্টি হবে। বাবা ভাঙ্গার মতে, এই ভাইরাসটি সাইবেরিয়ায় পাওয়া যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এর প্রকোপ বাড়বে। অর্থাৎ, করোনার বর্তমান সঙ্কটের পাশাপাশি আরেকটি মহামারী দেখা দিতে পারে।
“পৃথিবীতে আসছে এলিয়েন”: সর্বোপরি, এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি ছাড়াও, বাবা ভাঙ্গা বলেছিলেন যে, ২০২২ সালে পৃথিবীতে এলিয়েনদের আক্রমণ ঘটবে। এছাড়াও, এই বছর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগও হতে পারে। মূলত, তিনি বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প ও সুনামির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, তথ্য অনুযায়ী, বাবা ভাঙ্গার মোট ভবিষ্যদ্বাণীর ৮৫ শতাংশ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু আবার ভুল হিসেবেও পরিগণিত হয়েছে।