বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরুপাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত (Jail Custody) হল ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। সুতরাং, এখন দুসপ্তাহ জেলেই কাটাতে হবে কেষ্টকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আদালতে হাজির করানো হয় তৃণমূলের কেষ্ট মণ্ডলকে। প্রতিবারের মত এবারেও অনুব্রতের জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবী। তবে সেই আবেদন খারিজ করে এদিন ফের ১৪ দিন জেল হেফাজত হল অনুব্রতর।
এদিন বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে কেষ্ট মামলার শুনানি ছিল। এদিন অনুব্রত সঙ্গী, গরু পাচার মামলার আরেক অভিযুক্ত সহগল হোসেনকেও ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় আদালতে। জানা গিয়েছে, আজ আদালতে ধৃত অনুব্রতর বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথিপত্র জমা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অনুব্রতর সঙ্গে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট গুলির যোগ রয়েছে বলেও জানায় সিবিআই (CBI)।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয় সিবিআই। সেখানে গিয়ে রহস্যজনকভাবে বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পান তারা। এরপরেই তদন্তে নামে গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যাঙ্ক থেকে মোট ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। উদ্ধার হওয়া সেই অ্যাকাউন্ট গুলির মধ্যে ৫০টি অ্যাকাউন্টে একজনেরই সই রয়েছে বলেও তথ্য সামনে এসেছে। পাশাপাশি ওই ৫০টি অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা রয়েছে বলেও খবর।
এদিন তদন্তকারীরা দাবি করেন, সম্প্রতি হদিস মেলা সেইসব শতাধিক ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অভিযুক্ত অনুব্রত ও তার ‘ঘনিষ্ঠ’দের চালকলের টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালও জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করে সিবিআই। সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে অজস্র বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কেষ্টর কোনো যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই কাল সেখানে যান সিবিআই কর্তারা।
বৃহস্পতিবার টানা একঘন্টা মত কেষ্ট মণ্ডলকে জেরা করে সিবিআই। প্রসঙ্গত, পূর্বেই গরু পাচার মামলায় ভুয়ো সংস্থার কথা চার্জশিটে জানায় সিবিআই। সংস্থার দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেনও হয় একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে। এবার সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট গুলির সাথেও অনুব্রতর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই।