বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle), যাঁর কণ্ঠের মাধুর্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে। সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে তিনি দেবী স্বরূপ। এই বয়সে এসেও তাঁর কণ্ঠের সুর টলে না। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম চর্চা হয়নি। এবার বর্তমান সমাজ এবং মেয়েদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)।
আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle) ব্যক্তিগত জীবন থেকেছে চর্চায়
ভারতীয় সঙ্গীত জগতের মহীরুহ সমান আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। সঙ্গীত দুনিয়ার মাথার উপরে ছাতার মতো রয়েছেন তিনি। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে বহু অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছেন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও রয়েছে একাধিক ঘটনা যা নিয়ে একসময় বহুল চর্চা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর দাম্পত্য জীবন থেকেছে লাইমলাইটের কেন্দ্রে।
আরো পড়ুন : ছোট থেকে অভাবে মানুষ, ভেঙেছে বিয়েও, আজ তিনিই দেশের টপ অভিনেত্রী! নামটা বুঝতে পারলেন?
দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন গায়িকা
শোনা যায়, কিশোরী বয়সে দিদি লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপত ভোঁসলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন আশা (Asha Bhosle)। ৩১ বছর বয়সী গণপত ভোঁসলে ছিলেন তাঁর থেকে বয়সে প্রায় দ্বিগুণ বড়। বলা বাহুল্য, বোনের এই কাণ্ড একেবারেই মেনে নিতে পারেননি লতা মঙ্গেশকর। এমনকি এর জেরে নাকি দু বোনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গণপত ভোঁসলের সঙ্গে তিন সন্তান হয় আশার (Asha Bhosle)। কিন্তু তৃতীয় সন্তানের জন্মের আগেই ওই বিয়ে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। তার পাঁচ বছর পর প্রয়াত হন আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle) প্রথম স্বামী।
আরো পড়ুন : জোড়া মেগার সাঁড়াশি আক্রমণ, গল্প জমে ওঠার আগেই দাঁড়ি পড়ছে স্টার জলসার এই জনপ্রিয় সিরিয়ালে
১৯৮০ সালে সঙ্গীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সঙ্গীতশিল্পী। তবে শেষের দিকে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন না বলে শোনা যায়। ব্যক্তিগত জীবনে এমনি অভিজ্ঞতা রয়েছে আশা ভোঁসলের (Asha Bhosle)। সম্প্রতি ধর্মগুরু রবি শঙ্করের সঙ্গে আলাপচারিতায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গীতশিল্পী বলেন, স্বামীর সঙ্গে যত সমস্যাই থাকুক না কেন ডিভোর্স নেওয়ার কথা কখনো ভাবেননি তিনি। কিন্তু এখন তিনি শোনেন, প্রতি মাসেই নাকি দম্পতিরা ডিভোর্স লেটার পাঠান।
আশা ভোঁসলে আরো বলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহু মানুষকে তিনি দেখেছেন। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মতো হুট করে এমন পদক্ষেপ নিত না তারা কেউ। তাঁর কথায়, এখন যেন খুব শীঘ্রই প্রেম শেষ হয়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি পরস্পরের উপর বিরক্ত হয়ে ওঠেন তারা। হয়তো এই কারণেই ডিভোর্স বাড়ছে বলে মত সঙ্গীতশিল্পীর। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই প্লেব্যাক সিঙ্গিং করছেন তিনি। কাজ করতে করতেই তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে মানুষ করেছেন। কিন্তু এখনকার মেয়েরা সন্তানকে বোঝা বলে মনে করেন বলে মত আশা ভোঁসলের।