বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona) গ্রাসে করেছে দেশের অর্থনীতিও (economy। সোমবার শেয়ারবাজার খুলতেই সূচক পড়তে শুরু করে। এতই দ্রুত গতিতে শেয়ার সূচক পড়তে থাকে যে, ৪৫ মিনিটের জন্য শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যায়।
দেশের যেখানে যেখানে উৎপাদন ইউনিট আছে, করোনাভাইরাস সতর্কতায় সর্বত্র কারখানা বন্ধের নোটিস দিল এশিয়ান পেইন্টস কর্তৃপক্ষ। রঙ প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, যে যে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে সেখানে যতদিন তা লাগু থাকবে ততদিন বন্ধ থাকবে উৎপাদন।
কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকে কাজ করার কথা ইমেল মারফত জানিয়ে দিয়েছে এশিয়ান পেইন্টস কর্তৃপক্ষ। যে শহরে লকডাউন ঘোষণা হয়নি সেখানকার উৎপাদনও ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখছে এই সংস্থা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শেয়ারবাজারের পতন ইঙ্গিতমাত্র। কিন্তু তা দিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা ঠিক হবে না। সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দেশের ৮৩টি জেলায় আংশিক ও পূর্ণ লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। আপাতত সেসব জায়গা স্তব্ধ।
এশিয়ান পেইন্টস জানিয়েছে, তারা কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে। কোনও ভাবেই কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে না। সারা দেশেই প্রায় রেল পরিষেবা বন্ধ। বন্ধ হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও। দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলো আবার নতুন করে দাবি জানিয়েছে, ডোমেস্টিক তথা অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার। এদিনই এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আক্রান্ত বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পরশুদিন যা ছিল দুশোর ঘরে আজ তা চারশো ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রধানমন্ত্রীও এদিন বলেছেন, কিছু.মানুষ লকডাউনের গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে উৎপাদন থামাল এশিয়ান পেইন্টস (Asian Paints)।