বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এশিয়ার বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Biggest International Airport) এবার তৈরি হচ্ছে ভারতে (India)। ইতিমধ্যেই এটি তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত নির্মাণ কাজ চলছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জেওয়ারে নির্মিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস্টোফ শ্নেলম্যান জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের বিল্ডিং, রানওয়ে এবং মেন টার্মিনালটি তৈরি হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ওই সাইটটি বিমানবন্দরের মতো আকারও ধারণ করেছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এই বিমানবন্দর থেকে প্রথম উড়ান সম্পন্ন হতে পারে। অর্থাৎ, তার আগেই নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ৯ মাস ধরে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছে। লেভেলিং ও খনন কাজের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রায় ২,৫০০ কর্মী ওই সাইটে কাজ করছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিমানবন্দরে থাকবে একাধিক অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
ইতিমধ্যেই চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস্টোফ শ্নেলম্যান জানিয়েছেন যে, সাইটের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং পাওয়ার সাব-স্টেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ।
এছাড়াও তিনি জানান, সারা বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলি নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, রানওয়ে তৈরি করা খুবই কঠিন এবং প্রযুক্তিগত কাজ। এশিয়ার বৃহত্তম বিমানবন্দরে ৩০০ মিটার দীর্ঘ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থাকবে। এছাড়াও, রানওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪,০০০ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৪৫ মিটার।
এদিকে, ক্রিস্টোফ শ্নেলম্যান বলেন, একটি রানওয়ে তৈরি করা অনেকগুলি স্তরের পেস্ট্রি তৈরি করার মতো। ইতিমধ্যেই সেখানে কমপ্যাকশন ও লেয়ারিং এর কাজ শুরু হয়েছে। পুরো রানওয়েতে প্রায় ১ বছর ধরে বেশ কয়েকবার লেয়ারিং করা হবে। কারণ, রানওয়ে হল বিমানবন্দরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এছাড়াও, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আরও বলেন, নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বিমান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেখানে টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের আয়তন হবে ১ লক্ষ বর্গমিটার। পাশাপাশি, নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে এটি নির্মাণ ও প্রস্তুত করা হবে। পাশাপাশি, এটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে জুরিখ এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল এজি।