ভাইপো হল জামাই! পাক সেনার সদর দফতরেই মেয়ের বিয়ে দিলেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির

Published on:

Published on:

Asim Munir married off his daughter at the Pakistan Army's headquarters.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের (Asim Munir) তৃতীয় কন্যার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে সেনা সদর দপ্তরেই। গত ২৬ ডিসেম্বর গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়েছে বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পাক সেনা সদর দফতরেই আয়োজিত মুনির (Asim Munir) কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠান!

প্রায় ৪০০ জন অতিথির আমন্ত্রিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধানসহ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। একাধিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সেনাপ্রধানরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যা ঘটনাটিকে একটি রাজনৈতিক-প্রতীকী ঘটনায় পরিণত করেছে।

আরও পড়ুন:বর্ষবরণ মানেই জম-জমাটি খাওয়াদাওয়া! সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন‘মুরগি জাহাঙ্গিরী’, রেসিপি রইল

বরপক্ষে রয়েছেন আবদুল রহমান, যিনি আসিম মুনিরের ভাইপো। তিনি পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে বর্তমানে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন। আত্মীয়তার বন্ধনে মিলিত হওয়া এই দম্পতির সম্পর্কও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় স্থান পেয়েছে।

এই বিবাহ অনুষ্ঠানটি এমন এক সময়ে আয়োজিত হয়েছে, যখন জেনারেল মুনির সম্প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তাঁর সেই অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এই পারিবারিক অনুষ্ঠানেও অনেকেই রাজনৈতিক বার্তা খুঁজছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

Asim Munir married off his daughter at the Pakistan Army's headquarters.

আরও পড়ুন:মামা রাহুল এখনও ‘একা’, বিয়ের প্রস্তুতি প্রিয়াঙ্কা-পুত্র রায়হানের, সম্পন্ন হল বাগদান

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গভীর প্রভাবের প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধানের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সেনা সদর দপ্তরের মতো একটি সংবেদনশীল স্থানে এ ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন এবং সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপস্থিতি দেশটিতে সেনাবাহিনীর অপ্রতিহত প্রভাব ও ক্ষমতার কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই পুনরায় প্রতিফলিত করেছে।