বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল, কলেজ থেকে হাসপাতাল, যে কোনও জায়গায় যেতে এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল বহু মানুষ। অথচ সেই রাস্তারই কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এবার এর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার (Asit Majumdar)। তৃণমূল সরকারেরই দুই বিভাগের KMDA এবং PWD-র বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন তিনি।
বেহাল রাস্তা সংস্থারের দাবিতে ধর্নায় তৃণমূল বিধায়ক (Asit Majumdar)!
চুঁচুড়ার তোলাফটক থেকে সাঁকোমোড় অবধি আধ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন বহু মানুষ। জিটি রোড কিংবা চুঁচুড়া স্টেশন থেকে শহরের দিকে যেতে এটাই মূল রাস্তা। এদিকে সেই রাস্তারই বেহাল দশা! জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সকাল ৯টা নাগাদ কাজের হাল খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যান বিধায়ক। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি দেখেই ক্ষুব্ধ হন তিনি।
সোজা চেয়ার নিয়ে রাস্তার ধারে বসেন পড়েন অসিত (Asit Majumdar)। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজকে রাস্তা হবে, তবে যাব। রাস্তা শেষ না হলে এরপর রাস্তার উপর বসব’। তিনি আরও বলেন, ‘সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারের এই দু’টো বিভাগ, KMDA এবং PWD কোনও কথা শোনে না। এরা নিজেদের মর্জিমাফিক চলে। এরা যদি নিজেদের মর্জিমাফিক চলে, আমিও মানুষের মর্জিমাফিক চলব। কারণ মানুষ আমায় ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, অন্যের দয়ায় আমি জিতিনি’।
আরও পড়ুনঃ বাইক-স্কুটার চালকরা সাবধান! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম, অমান্য করলেই মোটা টাকা জরিমানা!
তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক বলেন, এখানে শিশুদের স্কুল আছে, মেয়েদের স্কুল আছে, শ্মশান ঘাট আছে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমরা বসে আছি রাস্তায়, দেখি কী হয়! আমি চাই রাস্তার কাজ হবে। সরকার টাকা দিয়েছে রাস্তার কাজ হবে। একথা বলে একপ্রকার ধর্নায় বসে পড়েন অসিত। শেষমেষ জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং PWD আধিকারিকরা কোনও রকমে বুঝিয়ে নিরস্ত করেন।
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে চুঁচুড়ার বিধায়কের ধর্নায় বসার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এই নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি শিবির। হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিধায়কের কথা KMDA শুনবে না, PWD শুনবে না। এতে তো চিৎকার করে কিছু বলার নেই। এটাই স্বাভাবিক। চুঁচুড়ার বিধায়ক মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্ল্যাকলিস্টেড। সেটা KMDA এবং PWD জানে। যে কারণে আজ বিধায়কের এই অবস্থা’। এদিকে অসিত মজুমদার (Asit Majumdar) ধর্নায় বসতেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যায়। কাজ কিছুটা এগোনোর পর বিকেল ৫টা নাগাদ ধর্না তুলে নেন তিনি।