বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও সংবাদের শিরোনামে চুঁচুড়ার (chinsurah) তৃণমূল (TMC MLA) বিধায়ক অসিত মজুমদার (asit majumder)। জল্পনা উঠছে এবার নাকি তিনি বিজেপির (BJP) পথে পা বাড়াতে পারেন! চুঁচুড়া শহরজুড়ে পড়েছে একাধিক পোস্টার (poster)। পোস্টারে হুঁশিয়ারি, অসিত মজুমদারকে বিজেপিতে নেওয়া যাবে না। যদিও অসিতবাবুর বক্তব্য,’বিজেপি পাগল হয়ে গিয়েছে। পাগল-ছাগলের দল। ওরা ওদের নিজেদের পার্টি অফিসেই কিছু পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে। হয় পাগল নয় মদ্যপ। আমার কাছে খবর রয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ই (locket chatterjee) নাকি তৃণমূলে আসবেন।’ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও পাল্টা জবাব দিয়েছন। তিনি, ‘কদিন পরেই দেখবেন ওঁর ঘরে ইডি-সিবিআই আসছে।’
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অসিত মজুমদারের দল বদলের খবরে এখন হুলুস্থুল কাণ্ড হুগলিতে। বিষয়টি নিয়ে পোস্টার পড়েছে বিজেপির জেলা পার্টি অফিস ও বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘অত্যাচারী অহংকারী চুঁচুড়ার তৃণমূল এমএলএ-কে বিজেপিতে নেওয়া চলবে না।’ পুরো বিষয়টিকে যদিও জল্পনা বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন অসিত। তিনি পাল্টা আঙুল তুলেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দলবদলের দিকে। এরপরই লকেটের বলেন, ‘ওঁকে কোনও নম্বরই দিতে চাই না। যাঁর মুখের ভাষা এরকম, কিছু দিন বাদেই দেখা যাবে যে ইডি-সিবিআই তাঁর বাড়ি গিয়েছে, আর এই লোকটা অনর্গল মহিলাদের নিয়ে বাজে কথা বলে যায়। সাংসদকেও ছাড়েন না, নাম ধরে ডাকেন।’
বড় জাহাজ থেকে ছোট নৌকোয় কেউ যায় বলে তো আমি কোনওদিন শুনিনি’, তৃণমূল বিধায়কের দলবদলের বিষয়ে এমনই বলেন সাংসদ শান্তনু সেন। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, অন্য দলের নেতা ভাঙানো বিজেপির সংস্কৃতি। ‘আমরা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেখেছি কী ভাবে প্রাইভেট জেট ভাড়া করে তৃণমূলের নেতা ভাঙিয়ে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে যোগ দেওয়ানো হয়েছিল। আমরা দেখেছি তেলঙ্গানায় কী ভাবে এক এক জন বিধায়কের দাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি কী ভাবে বিরোধীদের কেনাবেচা করা হয়েছে’, বলেন শান্তনুর।
অসিতের দলবদলের জল্পনা নিয়ে যে পোস্টার পড়েছে সেটাও বিজেপির একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজ্য বিজেপি যে রাজনৈতিক ভাবে অসহায়, তা তাদের কাছেও স্পষ্ট। পাশাপাশি ইডি-সিবিআইকে বিজেপির একাংশ যে প্রভাবিত করে সেটাও হুগলির বিজেপি সাংসদের কথা থেকে পরিস্কার। এমনই মত তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের।