বাংলার মেয়ে অথচ নাম নেই, অসমে বিতর্কে বাংলার NRC তালিকা

Published on:

Published on:

Assam Bengal blame over NRC

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমের এনআরসি (NRC) তালিকা  থেকে বাদ পড়লেন কোচবিহার জেলার এক বধূ, আরতি ঘোষ। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তিনি অসমেই বসবাস করছিলেন। এনআরসি (NRC)-র সময় নিয়ম মেনে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তালিকায় জায়গা পাননি তিনি, যদিও তাঁর স্বামী ও সন্তানের নাম রয়েছে তালিকায়। এখান থেকেই শুরু হয় নাগরিকত্বের টানাপোড়েন। 

আরতি ঘোষের দাবি, তিনি বাবার নাম, চাকরির কাগজ-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র জমা দিলেও অসম প্রশাসন শংসাপত্র চেয়ে বসে। সেই শংসাপত্র চেয়ে বারবার বাংলার মহকুমা শাসক অফিসে (SDO office) গিয়েও তা পাননি তিনি। ফলে অসম প্রশাসন তার আবেদন বাতিল করে।

এনআরসি (NRC)-র নিশানায় এবার বাংলা

এই ঘটনার পর কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি আরতির বাড়িতে গিয়ে বলেন, “এটা বাঙালি বিদ্বেষ”। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও বলেন, “অসমে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপি এনআরসি (NRC) দিয়ে শুধু বিভাজন করছে।” কিন্তু এই অভিযোগের মাঝে বাংলার ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

এই ঘটনার আগে উত্তম কুমার ব্রজবাসীর কাহিনি ঘিরে তৃণমূল উত্তাল হয়েছিল। কিন্তু আরতি ঘোষের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা বাংলা থেকে শংসাপত্র না পাওয়াই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বিষয়টি কি নিছক বাঙালি বনাম অসম? নাকি এক রাজ্যের আমলাতান্ত্রিক শিথিলতা আরেক রাজ্যে ছাপ ফেলল?

Assam Bengal blame over NRC

আরও পড়ুনঃ “বাক্ স্বাধীনতা সীমাহীন নয়”, মতপ্রকাশ নিয়ে কড়া বার্তা শীর্ষ আদালতের

আরতির নাম না ওঠা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চললেও, তার জীবন থমকে আছে নাগরিকত্বের টানাপোড়েনে। বাংলার প্রশাসন যদি শংসাপত্র দিত, তাহলে কি তিনি বাদ পড়তেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নাগরিক অধিকারের কেন্দ্রে।