বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Hemant Vishwa Sharma) সরকার। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো মুসলিম বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন আইন (Muslim Marriage Act) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। ভোটের মুখে এটি যে একটি বড় সিদ্ধান্ত সেকথা বলাই বাহুল্য। অসম সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে মুসলিমদের বিয়ে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের (Special Marriage Act) আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মার এই সিদ্ধান্ত যে অসমে ইউনিফর্ম সিভিল কোড কার্যকরের প্রথম ধাপ সেকথা বলাই বাহুল্য। এদিকে দিনকয়েক আগেই ইউনিফর্ম সিভিল কোড সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার সেই একই পথের পথিক হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। এমনকি এইদিন অসমের পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবড়ুয়া সরাসরি বলেই দিয়েছেন যে, শীঘ্রই দেওয়ানি বিধি কার্যকর করবে অসম।
মুসলিম বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবড়ুয়া। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে অসমে আর মুসলিমদের বিয়ে এবং ডিভোর্সের বিষয়টি এই আইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা যাবে না। আমাদের ইতিমধ্যে একটি স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট আছে। আমরা চাই যে সেই আইনের আওতায় সব বিয়ে নথিভুক্ত হোক।’
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চেক করতে গিয়েই সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, কেলেঙ্কারি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ আম জনতা
অসম সরকারের মতে, ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন আইনের কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আর এবার সেই কথা মাথায় রেখেই এই আইন বাতিল করল অসম সরকার। পর্যটন মন্ত্রীর কথায়, আজকের সিদ্ধান্ত অসমের বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেকটাই কমাতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে ‘অশনি’ সংকেত! ৭২ ঘণ্টা কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টি জেলায় জেলায়, IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত অসমে মোট ৯৪ জন এমন ব্যক্তি ছিলেন যাদের কাছে মুসলিমদের বিয়ে ও ডিভোর্স নথিভুক্ত করার ক্ষমতা ছিল। তবে অসম সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তের পর তারা আর সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেননা। এই বিষয়ে নয়া নির্দেশিকাও জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই যে ৯৪ জন ব্যক্তির উপর এই দয়ভার ছিল তারা যেন ভবিষ্যতে কোনও আর্থিক সমস্যায় না পড়েন সেই জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।