বাংলা হান্ট ডেস্ক : সব কিছু ঠিক থাকলে ব্রহ্মপুত্র নদের নিচে গড়ে উঠবে দেশের প্রথম জলের নিচ দিয়ে রেলপথ। ওই টানেল করার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব জমা দেয় অসম সরকার (Assam Government)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma) জানান, কেন্দ্র তাঁদের এই প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে দেখলছে। এই টানেল গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ইতিমধ্যেই দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
ওই টানেল করা হবে গহপুর এলাকা থেকে। নুমালিগড় পর্যন্ত ওই টানেল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের নিচে ওই টানেল করতে খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। আগামী ৪ জুলাই ঐই সম্পর্কিত টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে রেল এবং সড়ক দুই রকম টানেলই থাকবে। ওই কাজ শুরুর আড়াই বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করা হবে বলে ধরা হয়েছে।
সেই টানেল হবে প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক , সড়ক পরিবহন মন্ত্রক এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থা। ওই টানেল তৈরি করবে। সেখানে সমান্তরালভাবে তিনটি টানেল থাকবে। একটি রেলপথ , একটি সড়ক পথ এবং অন্যটি ‘এমারজেন্সি’। এই টানেল করা হলে সেটাই হবে জলের নিচে দেশের প্রথম রেল পথ ও সড়ক পথ।
Coming soon – Assam’s first underwater tunnel pic.twitter.com/4jmOTSBLhe
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 24, 2023
ওই টানেল করা হলে উত্তর অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং তাওয়াং-এর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সূত্রের খবর, দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই টানেল করার জন্য অনুমোদন দিতে প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই টানেল করতে নীতিগত আপত্তি নেই কেন্দ্রের। কিন্তু চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে সব কিছু ভালো করে দেখে নিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
জানা গিয়েছে, একেবারে আধুনিকতম প্রযুক্তি দিয়ে ওই টানেল করা হবে। সেখানে ভারী যানবাহন এবং সেনার ভারী কনভয়ের গাড়ি ছাড়াও অন্য গাড়ি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে। অসমের ৫৪ নম্বর এবং ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে ওই টানেল। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই ওই টানেলের কাজ শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। তিনটি ধাপে ওই টানেল করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
ওই এলাকার কাছেই অরুণাচল প্রদেশ এবং চিনের সীমান্ত। প্রায় সময়েই চিনের লাল ফৌজ এসে ঘাঁটি গাড়ছে ভারত ভূখণ্ডে। সেখানে জিয়াংসু এলাকার তাইহু হ্রদের নিচে ‘আণ্ডার ওয়াটার টানেল’ বানিয়েছে চিন। ভারত যে টানেল বানাতে চাইছে তা চিনের ওই টানেলের চেয়েও লম্বা। এই টানেল হলে সেখানে সেনা পৌঁছানো আরও সহজ হবে।