বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, অসমের নগাঁও জেলার একটি পুলিশ স্টেশনে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। অভিযোগ, এই ঘটনা সামনে আসতেই কয়েকজন যুবক মিলে সেই পুলিশ স্টেশনে লাগিয়ে দেয় আগুন! সূত্রের খবর, এরপর এদিন অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং বর্তমানে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের বাসস্থান। পুরো ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও সন্ধান চালানো হচ্ছে।
অভিযোগ, অসমের শিবসাগর এলাকায় বাস ধরতে যাওয়ার সময় শফিকুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বাটাদ্রাভা থানার পুলিশ। এরপর হঠাৎ সেই ব্যক্তির অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় এবং সেই খবর উঠে আসার পরই ক্ষুব্ধ জনতা থানায় হাজির হয়। পরবর্তীতে, সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, থানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
মাছ ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, শফিকুলকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য 10 হাজার টাকা এবং একটি হাঁস ঘুষ হিসেবে চায়। এরপর সেই টাকা নিয়ে ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় গেলে তাকে জানানো হয় যে, তার স্বামী স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং এর পরেই তাঁর মৃত্যুর খবর মেলে। সম্পূর্ণ ঘটনায় পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে পরিবার।
যদিও এই ঘটনায় অসমের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত বলেন, “শফিকুলের মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং এই ঘটনায় ইতিমধ্যে থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে থানায় আগুন লাগানোর ঘটনা কাম্য নয়। বর্তমানে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসপি লীনা দোলে বলেন, “সমস্ত ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দুই জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। থানায় হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে আমরা আটক করেছি এবং বাকিদের উদ্দেশ্যে সন্ধান চালানো হচ্ছে।”