পালিয়ে অন্যের বউকে বিয়ে, ঘোর বিপাকে যুবক! সুবিচারের আশায় গেলেন দিদির দূতের কাছে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েক বছর আগের কথা। বাগদার (Bagda) তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাপিয়া রায়ের সঙ্গে বিয়ে (Marriage) হয়েছিল পাশের গ্রামের এক যুবকের। এদিকে, বিয়ের আগে থেকেই হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, বাড়ির অমতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অন্য পুরুষের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন পাপিয়া। ফলে, স্বামীর ঘর করা তো দূরস্থান, স্বামীকে ছেড়ে দিব্যি সংসার পেতেছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে।

জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে পাপিয়ার একসঙ্গে থাকার খবর জানাজানি হতেই শ্বশুরবাড়ির তরফে কড়া ‘দাওয়াই’ দেওয়া হয়। প্রেমিকের বাড়ি থেকে জোর করে ওই বধূকে তুলে নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকী, পড়শিরা বাধা দিলে তাদের মারধর পর্যন্ত করা হয়। গত ৯ এপ্রিল এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বাগদার সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়।

সূত্রের খবর, দুই গ্রামের বাসিন্দারা লাঠি নিয়ে অনুপমের বাড়িতে চড়াও হয়। এরপরেই, হরিনগর গ্রামের বাসিন্দারা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার চারজনকে হাতেনাতে ধরে। ধৃতদের নাম ঝর্ণা রায়, তপতী রায়, বন্দনা বিশ্বাস এবং গীতু রায়। তাদেরকে বনগাঁ আদালতেও তোলা হয়। অন্যদিকে, মনের মানুষকে ফিরে পেতে ‘দিদির দূতের’ শরনাপন্ন হয়েছেন ওই যুবক।

husband grabbed his wife's Extramarital affair in Mexico

যদিও পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনুপমের বাড়িয়ে হাজির হওয়ার কথা মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, নিয়ম মেনে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পাপিয়ার। এরপর তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের গোটা পরিবার ব্যতিব্যস্ত। অন্যদিকে, অনুপম বলেন, পরিবারের সদস্যরা জোর করে পাপিয়াকে বিয়ে দিয়েছিল। ও বিয়ে করতে চায়নি। তাঁর মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন বলেও জানান অনুপম। পুলিশের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর