বছরের শুরুতেই বিরাট ধার রাজ্যের! ক্রমশ বাড়ছে সরকারের ঋণের বহর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২২-এর শুরুতেই ফের বিরাট অঙ্কের ধার নিল রাজ্য। এই নিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে মোট তিনবার বাজার থেকে ধার নিল রাজ্যের সরকার। চলতি বছরেই গত ৪ জানুয়ারি বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।

এই প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই দিনই মোট ৯ টি রাজ্য বাজার থেকে ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা ঋণ নেয় ৷ যেখানে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ উভয়েই ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করে ঋণ নিয়েছে, যা এই ৯ টি রাজ্যের ঋণ নেওয়ার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ৷

   

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে যখন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসে তখন রাজ্যের মোট ঋণের পরিমান ছিল ১.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা। এমতাবস্থায়, বর্তমান রাজ্য সরকারের শেষ বাজেট পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবর্ষ শেষে সেই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি!

এদিকে, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই তিনবার বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সবমিলিয়ে ৭ টি রাজ্য মোট ৭ হাজার  ৫৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এই রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি, আড়াই হাজার কোটি টাকা।
IMG 20220107 133739

পাশাপাশি গত ২৪ ডিসেম্বর সবমিলিয়ে ১৬ টি রাজ্য বাজার থেকে মোট ২২ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়। সেই বারেও পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি, ৪ হাজার কোটি টাকা । অর্থাৎ গত ২১ দিনে রাজ্য সরকার বাজার থেকে ইতিমধ্যেই ধার করে নিয়েছে মোট ৯ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। স্বাভাবিকভাবেই, এর ফলে দ্রুতহারে বাড়ছে রাজ্য সরকারের ঋণের বহর।

এদিকে, রাজ্যের ক্রমশ ঋণ নেওয়ার প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা মোট দু’টি কারণ উপস্থাপিত করেছেন। তাঁদের মতে, আবগারি শুল্ক ছাড়া রাজস্ব আদায়ের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার ফলে বর্তমানে খরচ চালানোর জন্য বাজার থেকে ধার করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই রাজ্য সরকারের কাছে। দ্বিতীয়ত, গত দশ বছরে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা-বহির্ভূত খরচ ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার ফলেই ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ধারের বহরও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর