বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত (India) বিরোধী মনোভাব পালন করা মালয়েশিয়ার (Malaysia) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহাতির মোহম্মদ (Mahathir Mohamad) আরও একবার বিতর্কিত বয়ান দিয়ে শিরোনামে উঠে এলেন। শনিবার কুয়ালালামপুরে কাশ্মীর নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে নিজের পুরনো বয়ানকে ঠিক বলে জানান তিনি। উনি বলেন, ক্ষতির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছি। ওনার এই বিতর্কিত মন্তব্যকে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও (Imran Khan) সমর্থন করেছেন। আর ওনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছে।
Now that Iam no more the Prime Minister, I take it that I can now speak without restrain and address the Kashmir issue without threats of boycotts and such.
AT THE “KASHMIR’S ONE YEAR LOCKDOWN SINCE 5TH AUGUST 2019
KUALA LUMPUR
— Dr Mahathir Mohamad (@chedetofficial) August 8, 2020
উল্লেখ্য, পাকিস্তান দ্বারা আয়োজিত কাশ্মীর বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে উনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউএন জেনারেল অ্যাসেমব্লিতে বিতর্কিত ইস্যুতে আমার বক্তৃতার পর থেকে যা ঘটেছে, সেটা কেবল এটা প্রমাণ করে যে আমি যেটা বলেছিলাম সেটা খুবই সামান্য ছিল। উনি বলেন, আমি যা কিছু বলেছিলাম তাঁর জন্য আমি ক্ষমা চাইব না। যদিও আমি দুঃখিত যে, আমার ওই বক্তব্যের কারণে ভারত আমাদের সাথে পাম তেলের ব্যবস্যা প্রায় গুটিয়ে নেয়।
মহাতির আরও বলেন, আমি জানতাম যা যে এরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য এত বড় ক্ষতি হবে। এখন আমি প্রধানমন্ত্রী না। আমি এখন কাশ্মীর ইস্যুতে কোন বহিস্কারের ভয়েই সবকিছু বলতে পারব। মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহাতির মোহম্মদের এই বিতর্কিত বয়ানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেন এবং ওনার প্রশংসাও করেন। উনি বলেন, মহাতির মোহম্মদকে কাশ্মীর ইস্যুকে সমর্থন করা আর কাশ্মীরবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
I want to thank Dr Mahathir Bin Mohamad for speaking in support of Kashmiris and against Indian repression in IIOJK – this time at a function on 8 Aug to mark a year of the illegal Indian actions in IIOJK.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 8, 2020
মহাতির একদিন আগেই বলেছিলেন যে, ভারতের সাথে আমাদের দেশের সম্পর্ক খারাপ আমার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মন্তব্যের কারণেই হয়েছে। কিন্তু, এটা ছাড়া আমাদের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালই ছিল। এমনকি আমার নেতৃত্বে যখন দেশ চলত, তখনও সম্পর্ক ভালো ছিল। উল্লেখ্য, ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভায় নিজের ভাষণের সময় মহাতির কাশ্মীর ইস্যু তুলেছিলেন। আর ভারতের বিদেশ মন্ত্রালয় সেটির কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছিল। এরপর ওনাকে নিজের প্রধানমন্ত্রীত্ব পদ থেকেও সরে যেতে হয়েছিল।