বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রিল্যায়েন্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগের (RYDL) দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপট দুই প্রধানের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে গিয়েও মহামেডানকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। নৈহাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সুহেল। আজকে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল পেলেন তিনি। তার এবং এনসংয়ের গোলে ২-০ ফলে জয় পেলো সবুজ মেরুণ শিবির।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলও (East Bengal) আজ দাপট দেখিয়ে জয় পেয়েছে। গত ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে বেশ লড়াই করে শেষ পর্যন্ত জেসিন টিকের গোলে জয় পেয়েছিল লাল হলুদ শিবির। কিন্তু এই ম্যাচে তেমনটা হলো না। সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতল লাল হলুদ শিবির। যদিও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ঝামেলায় জড়িয়ে দলের তিনজনকে লাল কার্ড দেখতে হয়েছে।
আজ ম্যাচের প্রথমার্ধেই পাঁচটি গোল হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মুহাম্মদ রোশল ১৩ মিনিটে প্রথম গোল করেন। এরপর সৌরভ বিশ্বাস ৩০ ও ৪১ মিনিট নাগাদ জোড়া গোল করেন লাল হলুদ জার্সিতে। এছাড়াও ডুরান্ড কাপে এবং আইএসএলের দু-একটি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের হয়ে খেলা তুহিন দাস ৩৪ মিনিট নাগাদ একটি গোল করেছিলেন। এছাড়া সুরুচির হয়ে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে স্বর্ণদ্বীপ একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচে ওরা অন্য কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু নৈহাটি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে চূড়ান্ত হাতাহাতি শুরু হয়েছিল শেষের দিকে যার জন্য চার জনকে লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হয়েছিলেন রেফারি। আজ টুর্নামেন্টে প্রথম জয় পেয়েছে মহামেডানও। ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২-০ ফলে জয় পেয়েছে সাদা-কালো শিবির।
সিনিয়র টিম হতাশ করলেও জুনিয়র টিমের এই পারফরমেন্স বেশ খুশি করছে ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের। অপরদিকে আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হওয়ার আগে জুনিয়র দলের এই পারফরম্যান্স দেখে সন্তুষ্ট সবুজ মেরুন শিবিরের ভক্তরাও। আর কিছুদিন পরেই দুই দলের রিজার্ভ টিম সুপার কাপ খেলতে মাঠে নামবে। এই প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। তাদের সাথে এই গ্রূপে রয়েছে হায়দরাবাদ এফসি ও লাল হলুদ শিবিরের শক্ত গাঁট ওড়িশা এফসি। এছাড়া আই লিগ থেকে যোগ্যতা অর্জনকারী একটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দেবে। এটিকে মোহনবাগানের ‘সি’ গ্রুপটি তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহজ। তাদেরকে খেলতে হবে এফসি গোয়া এবং জামশেদপুরের বিরুদ্ধে।