বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবার সারাদিনের জন্য তৃণমূলের (tmc) ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তৃণমূলের ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করেন। তাঁরা হলেন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ।
কিন্তু এখন অভিযোগ উঠেছে, সাসপেন্ড করার পরও এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় ঢোকার চেষ্টা করেন বেশ কয়েকজন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। নিরাপত্তারক্ষীরা বাঁধা দিতে গেলে, তাঁদের সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীরা আঘাত পেয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। সংসদের জানলার কাচ ভেঙে যায় বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনা আরও বড় সমস্যার আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভা সচিবালয় ঘটনার সন্ধ্যায় ঠিক কি ঘটেছিল তা জানার জন্য পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে, তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
তবে এবিষয়ে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। সবুজ শিবিরের দাবি, সাংসদদের বুধবারের অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা অধিবেশন শেষে সন্ধ্যার সময় যদি অধিবেশনে ঢোকার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের দোষ কোথায়?
প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতে না হতেই তৃণমূলসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে আসেন এবং প্ল্যাকার্ড হাতে পেগাসাস কান্ড নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। বারবার তাদের নিজের জায়গায় ফিরে যাবার অনুরোধ করেছিলেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। দাবি অনুযায়ী সেই কথাতে কোনওভাবেই কর্ণপাত করেননি তারা। এরপরেই অধিবেশন বানচাল এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সাসপেন্ড করা হয় লা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষকে।