‘মিথ্যেবাদী, হাই কোর্টে আপনাকে ল্যাজেগোবরে করব’, শুভেন্দুকে রণহুংকার অভিষেকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর থেকেই একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাকে পাল্টা বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদও। এবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতার প্রসঙ্গ উঠতেই রনংদেহী মূর্তিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)।

শুভেন্দু অধিকারীকে (Subhendu Adhikari) খোলা চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আপনাকে ল্যাজেগোবরে করব’। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দুকে মিথ্যেবাদী বলেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে অভিষেকের কথায় একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শুভেন্দু যাই বলুন না কেন, তাতে গুরুত্ব দিতে একেবারেই রাজি নন তিনি।

কিন্তু, প্রশ্ন হল কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার শুভেন্দুকে কোণঠাসা করলেন অভিষেক ? বলা বাহুল্য, ডিসেম্বর তত্ত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা ফেরত পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমিত শাহকে ফোন একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতা এখনো পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেন নি কিছুই। এবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই শুভেন্দুকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক।

অভিষেক বলেন, “ও পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য, খবরে থাকার জন্য টুইট করেন। বলেন বোমা ফাটাব। কিন্তু তারপর দেখবেন কিছুই নেই।” এরপরই ওঠে মমতা-শাহ ফোন প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, শাহকে ফোনের বিষয়টা প্রমাণ করতে পারলে তিনি ইস্তফা দেবেন। সেকথা টেনে অভিষেক বলেন, “একজন বলছেন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করব। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইস্তফা দেবেন। তাহলে এবার প্রমাণ করুন।”

abhishek banerjee

অভিষেকের কথায়, “উনি ব্যক্তিগত স্তরে এত নিচে নেমেছেন যে আক্রমণ ছাড়া কিছুই বোঝেন না। উনি প্রতিটা সাংবাদিক বৈঠক, সভায় আমাকে গালিগালাজ করেন। কিন্তু আমার নাম নেন না। ভাববাচ্যে কথা বলেন। এতে মামলা করা যায় না। তাই এসব করেন। শুধুই মিথ্যে কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা।” ফলে শুভেন্দু তথা বিজেপির কথায় যে অভিষেক একেবারেই বিচলিত নয় তা স্পষ্ট।

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর