বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এবার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন জয়া ভার্মা সিনহা (Jaya Verma Sinha)। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) এবং রেলওয়ে বোর্ডের ১৬৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি এই পদে দায়িত্ব সামলাবেন। সিনিয়র রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিস অফিসার জয়া ভার্মা সিনহা শুক্রবার এই দায়িত্ব নিয়েছেন।
তিনি ১৯৮৮ ব্যাচের রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিস অফিসার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জয়া ভার্মা ১৯৮৮ ব্যাচের একজন ভারতীয় রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিস অফিসার। তিনি রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য (অপারেশনস এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) হিসেবেও কাজ করছেন। তবে, জয়া ভার্মা এমন একটা সময়ে বোর্ডের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন ভারতীয় রেল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২.৭৪ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে।
বালাসোর দুর্ঘটনার সময় জনতা ও সরকারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেন: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বালাসোরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সময় রেলওয়ের তরফে সদস্য (অপারেশনস এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) হিসেবে মিডিয়ার সাথে কথাবার্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জয়া। পাশাপাশি, তিনি জটিল সিগন্যাল সিস্টেম সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেন।
আরও পড়ুন: মাটির ঘরে থেকে শ্রমিকের কাজ করে পড়িয়েছেন মা! আজ IAS হয়ে দেশের সেবা করছেন অরবিন্দ
রেলওয়ে বোর্ডের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান জয়া ভার্মা জন্মগ্রহণ করেন প্রয়াগরাজে। শৈশব থেকেই মেধাবী জয়া সেন্ট মেরি কনভেন্ট ইন্টার কলেজ থেকে স্কুলশিক্ষা শেষ করেন। এরপর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে B.Sc (PCM) করেন তিনি। জয়া এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরও করেছেন। সেখান থেকে তিনি সাইকোলজিতে মাস্টার্স করেন।
আরও পড়ুন: বাবা নিরাপত্তারক্ষী, মা বিক্রি করতেন চা! ছেলে ISRO-র বিজ্ঞানী হয়ে চাঁদে পাঠালেন চন্দ্রযান
উল্লেখ্য যে, জয়া বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে রেলওয়ে উপদেষ্টা হিসেবে চার বছর কাজ করেছেন। বাংলাদেশে তাঁর কার্যকালে কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করা হয়। তিনি ইস্টার্ন রেলওয়ে, শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।
কানপুর সেন্ট্রাল থেকে চাকরি শুরু: প্রশিক্ষণের পর, জয়া ভার্মা ১৯৯০ সালে কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে ACM (Asst. Commercial Manager) হন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাঁর দেড় বছরের কার্যকালে কর্মচারীদের কখনও আন্দোলন করতে হয়নি। এই প্রসঙ্গে তৎকালীন সেন্ট্রালে চিফ অপারেটিং সুপারভাইজার থাকা জেবি সিং (তিনি একজন ইউনিয়ন নেতাও ছিলেন) বলেন, জয়া ভার্মা প্রত্যেক কর্মচারীর সমস্যার কথা শুনতেন। তিনি যতদূর সম্ভব তাঁদের সমাধান প্রদান করেছেন। এই কারণে তাঁদের আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।