বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উলেমা-এ-ইসলাম ফজল এর প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছে। মৌলানা প্রদর্শনকারীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের অফিসের দিকে কুচ করেছে। এই ঘটনায় ভয়ভীত ইমরান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আদেশ দিয়ে মৌলানাকে যেভাবেই হোক আটকানোর আদেশ দিয়েছে। পাকিস্তানের মিডিয়া অনুযায়ী, মৌলানা ফজলুর প্রচুর সংখ্যক মানুষকে যোগার করে নিয়েছে, যারা পাকিস্তানে গম্ভীর পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম। পাক মিডিয়া অনুযায়ী, ভিড় এতটাই যে, বল প্রয়োগ করে হটানো মুশকিল। মৌলানা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে, যেটা আজই শেষ হবে।
মৌলানা এত পরিমাণে জন সমর্থন পেয়েছে যে, পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞ আর সরকারের মাথায় ভাঁজ পড়েছে। মৌলানা তুষ্ট করার অনেক চেষ্টাও করা হয়েছে, কিন্তু সে কোন কিছু মানতে রাজি নয়। মৌলানা নিজের অথবা আজাদি মার্চে অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে রণনীতি বানিয়েছে। যদিও সেগুলো এখনো সার্বজনীন করা হয়নি। পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীদের পুর্বজেরা জিন্নাহ এর বিরোধী ছিল, আর এরা ইমরান খানের বিরোধী।
খাইবার পাখতুনখাঁ প্রশাসনের থেকে ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী নিয়ে আসা হয়েছে ইসলামাবাদে। এছাড়াও আরও ৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ইসলামাবাদে পাঠানো হয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে যে, আন্দোলনকারীরা তাঁদের জায়গা থেকে এগোতে না পারে। পাকিস্তানের ইন্টিরিয়র সেক্রেটারি সেনা আর পুলিশের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছে, ওই বৈঠকে আজাদি মার্চে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া নিয়ে চর্চা হয়েছে।
#آزادی_مارچ pic.twitter.com/xHxl8VsV3N
— Maulana Fazl-ur-Rehman (@MoulanaOfficial) November 2, 2019
মৌলানা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে যে, সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও বড় করার জন্য আগামী দুই দিনে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উনি বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাস আন্দোলনে ভরা আর তিনি খুব শীঘ্রই বড় সিদ্ধান্ত নেবে। মৌলানা পাকিস্তানের আর্থিক নীতির উপর আক্রমণ করে বলেন, ইমরান খানের নেতৃত্বে দেশ অসুরক্ষিত। মৌলানা অভিযোগ করে বলেন, ইমরান সরকার ১ বছরে যা ঋণ নিয়েছে, সেটা বিগত ৭০ বছরে কোন সরকার নেয়নি। উনি অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানের টাকা ডলারের তুলনায় ১০৫ থেকে ১৬০ এ চলে গেছে। পাকিস্তানিরা নিজের বাচ্চাদের জন্য খাবার কিনতে পারছেনা। উনি বলেন, এগুলো সব ইমরান খানের শাসন কালে হয়েছে।