বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছুটির দিনে বড় চমক দিল তৃণমূল। দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দেখা গেল দুই হেভিওয়েট তারকা প্রার্থীর নাম। আসানসোল এবং বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে যথাক্রমে শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বাবুল সুপ্রিয়কে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনের টিকিট পেয়ে কার্যতই আপ্লুত বাবুল সুপ্রিয়।
গতবছর কালিপুজোতেই প্রয়াত হন বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে আসানসোলের লোকসভার আসন ছেড়ে তৃণমূলেই যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার সেই দুই কেন্দ্রেই বিধায়ক এবং সাংসদ বাছার পালা।
শুধু আসানসোলের সাংসদই নয়, এককালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন বাবুল। কিন্তু তৃণমূলে তিনি যোগ দেওয়ার পর তাঁকে রাজ্যের কাছাকাছিই রাখতে চেয়েছিলেন মমতা। বাবুলও কাজ করতে চেয়েছিলেন রাজ্যেই। এর ফলেই যে বাবুলকে বালিগঞ্জ বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়েছে এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। অন্যদিকে বলিউড অভিনেতা তথা আর এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাকে দেওয়া হয়েছে আসানসোল লোকসভার টিকিট।
বালিগঞ্জ বিধানসভার টিকিট পেয়ে কার্যতই আপ্লুত বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলে যে তিনি সম্মানজনক পদই পাবেন তা মোটামুটি সবারই জানা থাকলেও এদিন টিকিট পাওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘আজ আমি কতটা খুশি তা বলে বোঝাতে পারব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সবসময়ের অনুপ্রেরণা। তিনি আমায় সাহস জোগান। আগামী দিনে আমাকে যে ভাবে কাজ করতে বলবেন আমি সেভাবেই করব।’ তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ তাও উল্লেখ করে বাবুল আরও বলেন, ‘অনেক কষ্ট, হতাশা নিয়ে বিজেপি ছেড়েছিলাম। বিজেপিতে বারবার আহত হয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আবার কাজ করা সুযোগ দিয়েছেন। ওঁকে প্রণাম জানাই।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রীত্ব খোয়ান বাবুল। সেই সঙ্গেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব স্পষ্ট হতে থাকে তাঁর। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ঘোষণা করেন যে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাবেন তিনি। এরপর গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে পা রাখেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকেই লড়বেন তিনি। জিতে আসলে যে তাঁকে মমতার মন্ত্রীসভার সদস্যও করা হবে তেমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।