সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা একাধিক সময় নানান ভাইরাল আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটতে দেখি। আর এবার উত্তরপ্রদেশের বুকে এখন এক ঘটনা ঘটলো, যাতে হতবাক গোটা দেশবাসী।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাদাউন নামক অঞ্চলে। দীনেশ নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি তার মেয়ে আরতিকে নিয়ে সেখানকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য যায়।
প্রথমে সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলেও যখন তার কাছে আরতির আধার কার্ড চাওয়া হয়, তখনই বাঁধে বিতর্ক। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করে যে, আধার কার্ডে শিশুটির নামের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘মধুর পঞ্চম বাচ্চা’!আধার কার্ডে এহেন নাম দেখে স্বভাবতই হতবাক রয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং এর ফলে স্কুল থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় দীনেশ ও তার মেয়েকে।
ঘটনাটি রটে যাওয়ায় গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় আর বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আধার কার্ডের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর সকলের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কিভাবে আধার কার্ডে এরকম ভুল হতে পারে! জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বাদাউন এলাকার রায়পুর গ্রামে বসবাসকারী দীনেশ এর পাঁচ বাচ্চার মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনারত।
কিন্তু তার পঞ্চম তথা সর্বশেষ মেয়ে আরতির আজ থেকে প্রায় দুবছর আগে আধার কার্ড বানানো হলেও স্বাভাবিকভাবে আধার কার্ড নির্মাতাদের ভুলের জন্য যে বর্তমানে মাশুল গুনতে হবে তার পরিবারকে, তা বলা যায়।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আধার কার্ডে এহেন গন্ডগোল দেখে হতবাক হয়ে পরে। দীনেশের তৎক্ষণাৎ আধার কার্ড সংশোধনের পরেই যে বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে, সে বিষয়ে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।