বাংলা হান্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কায়দায় ঢেলে সাজানো হয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport)। আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হওয়ায় এবার বাগডোগরাতেও (Bagdogra Airport) খোলা হবে কাস্টমস, কিংবা ইমিগ্রেশনের মতো অফিস। আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে চলেছে বিমানের সংখ্যা।
বাগডোগড়া বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) নতুন নাম কি?
বাগডোগরাকে (Bagdogra Airport) এমন ঝাঁ-চকচকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপায়িত করার আগে এই বিমানবন্দরের নতুন নাম নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।কলকাতা বিমানবন্দরের নাম যেমন নেতাজির নামে রাখা। তেমনি এবার শোনা যাচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেরও নতুন নামকরণ করা হবে। কিন্তু এতদিন ধরে বাগডোগরা নামে পরিচিত এই বিমানবন্দরের নতুন নাম কি হবে? তা নিয়ে মহা চিন্তায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বাগডোগরায় অবস্থিত হওয়ার জন্য এই বিমানবন্দরের নাম বাগডোগরা রাখা হয়েছিল। কিন্তু আগামী দিনে যেহেতু এই বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে চলেছে তাই এই আঞ্চলিক নামে হয়তো অনেকেই বুঝতে পারবেন না এই বিমানবন্দরের অবস্থান। এই কারণেই সকলের কাছে পরিচিত এমন কোনো নাম দিয়ে এই বিমানবন্দরের নতুন নামকরণ করার চিন্তা ভাবনা চলছে।
এদিকে বণিকসভা সিআইআইয়ের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এপ্রসঙ্গে আলোচনা করতে তারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি পাঠাবেন। একই দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও। তবে শর্ত একটাই। এই নতুন নামের সাথে শিলিগুড়ি নামটা যুক্ত করতে হবে। কারণ বাগডোগরার পরিসর খুবই অল্প। কিন্তু শিলিগুড়ির নামটার সাথে অনেকেই পরিচিত।
আরও পড়ুন : ‘মাই লর্ড…’, দি ওয়াই চান্দ্রচূড়ের কাছে এ কি আবদার রাকেশ দ্বিবেদীর?
তাই বাগডোগরার অবস্থান নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকলেও শিলিগুড়ি ক্ষেত্রে তা হবে না। তবে এই মুহূর্তে বাগডোগরা বিমানবন্দরের যে নাম দুটি চর্চায় রয়েছে তা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অপরটি হল তেনজিং নোরগে। দার্জিলিং এর মংপু যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সেকথা অজানা নয় কারও কাছেই।
তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও করা যেতে পারে। এছাড়াও এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের সাথেও দার্জিলিংয়ের যোগসূত্র রয়েছে। তাই তাঁকে স্মরণ করেও বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন নাম রাখা যেতে পারে। তবে এখানে বলে রাখি বিমানবন্দরের নতুন নামকরণের জন্য আঞ্চলিক কিংবা রাজ্যস্তর থেকে শুধুমাত্র প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে। আসলে গোটা বিষয়টা আসলে নির্ভর করছে দিল্লির উপর। তাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র দিল্লি।