ইন্দ্রানী সেন, বাঁকুড়া: এক ছাত্র সহ দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ায় শনিবার রাত থেকে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙ্গা মোড় এলাকা থমথমে। আহতরা তাদের দলের কর্মী দাবী করে পুলিশই ঐ গুলি চালিয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পাত্রসায়রে দলীয় কর্মসূচী সেরে ফেরার পর পাত্রসায়রের কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হন অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র সহ তিন জন। রাতেই বছর তেরোর সৌমেন বাউরী, তাপস বাউরী ও টুলু খাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর বিজেপি তাদের সমর্থকদের পুলিশের গুলি চালনার অভিযোগ তোলে।
রাত থেকেই এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। তবে যানচলাচল স্বাভাবিক হলেও খুব বেশী মানুষজনকে রাস্তায় বেরোতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, বিজেপির পাত্রসায়র-২ মণ্ডল সভাপতি তমাল কান্তি গুঁই কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় পুলিশ তাদের দলের নেতাকে গ্রেফতার করেছে বলে বিজেপির তরফে দাবী করা হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপন বাউরী বলেন, তৃণমূলের কর্মসূচী শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের নেতারা কলকাতার পথ ধরেন। পরে মণ্ডল সভাপতি তমাল কান্তি গুঁইকে পুলিশ মারধোর করে তুলে নিয়ে যায়।