মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই দিনমজুর বাবার, পাশে দাঁড়াল পুলিশ! উর্দি পরে কন্যাদান ওসি’র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর্থিক অনটনের কারণে বিয়ের আয়োজনে অসুবিধা, এগিয়ে এলেন বানারহাট থানার পুলিশ, আই সি নিজেই করলেন কন্যা সম্প্রদান। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার অভাবের কারণে মেয়ের বিয়ে ঠিক হলেও বিয়ের আয়োজন করতে পারছিলেন না মেয়ের বাবা দিলীপ ভাওয়াল। সেই সময়েই তাঁর পরিত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়াল বানারহাট পুলিশ।

ঠিক কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, গয়েরকাটা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ ভাওয়াল। পেশায় তিনি একজন দিন মজুর। বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তেমনভাবে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। কোনও মতে ১০০ দিনের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে ১০০ দিনের টাকাও পাচ্ছিলেন না। এমন নিদারুণ আর্থিক সংকটের মধ্যেই তাঁর মেয়ে স্মৃতিকা ভাওয়ালের বিয়ে ঠিক হয় জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে।

ভাল পাত্র পেয়ে মেয়ের বিয়ে তো ঠিক করে ফেলেন দিলীপ বাবু, কিন্তু বিয়ে দেওয়ার টাকা কোথায়। পাড়া-প্রতিবেশীরাও দুশ্চিন্তা শুরু করেন এই নিয়ে। তাঁরাই বিষয়টি নিয়ে দারস্থ হন বানারহাট থানার ট্রাফিক গার্ডের অফিসে। সবকিছু শোনার পর ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে থানার আইসি শান্তনু সরকারকে সব জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, পুলিশই বিয়ের ব্যবস্থা করবে।

IMG 20220527 WA0000

এর পরেই শুরু হয় আয়োজন। ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনও খামতি না হয়, সে জন্য আইসি শান্তনু সরকার তাঁর ট্রাফিক থানার অন্যান আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে দেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে নির্দিষ্ট লগ্নে দিলীপ বাবুর বাড়িতে উপস্থিত হন শান্তনু সরকার। কৃষ্ণ ও স্মৃতিকার চার হাত এক করে দিয়ে কন্যাদান করেন তিনিই।

বিয়ের পরে ছিল প্রীতিভোজের ব্যবস্থাও। নিমন্ত্রিত ছিলেন এলাকার মানুষ। বিয়ে দেখে, খাওয়াদাওয়া সেরে, পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ি ফেরেন এলাকাবাসীরা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর