শুরু করেছিলেন বিপ্লবীরাই! নজরকাড়া থিমের টানে বাঙ্গালপুর বয়েজ ক্লাবের পুজোয় ভিড় জমান আট থেকে আশি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা ১৯২১ সাল। বিপ্লবের গন্ধ তখন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার বাতাসে। দলে দলে তরুণ, যুবরা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে। ঠিক তখনই স্বাধীনতা সংগ্রামী বিভূতি ঘোষ ও তাঁর সহযোগীরা শুরু করেছিলেন এই পুজো। তারপর কেটে গিয়েছে ১০০ বছরেরও বেশী।

সময়ের হাত ধরে এই পুজোতেও লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। কথা হচ্ছে, বাঙ্গালপুর বয়েজ ক্লাবের কালীপুজো নিয়ে। এছরে এই বিখ্যাত কালীপুজো পর্দাপন করেছে ১০১ তম বর্ষে। প্রতিবারের মত এবারের থিমেও আছে নতুন চমক। জানা গিয়েছে, বাঙ্গালপুর বয়েজ ক্লাব “আদিবাসীদের দেশে”র নানান ছবিই পুজো মণ্ডপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

আরোও পড়ুন : ৩০০ বছরের পুরনো কালীমন্দির পুনর্নির্মাণ করছে বাংলাদেশের মুসলিমরা, চাইল মোদীর সাহায্য

চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে দুর্দান্ত প্রতিমা- সবকিছুই যেন নজর কাড়ছে আমজনতার। মণ্ডপের অসাধারণ শিল্পকলাই যেন হয়ে উঠেছে হাওড়াবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ।  বাঙালপুর বয়েজ ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে সংগঠন প্রাঙ্গণ।

img 20231114 wa0008

এই বছরের দেবী আরাধনাকে স্মরণীয় ও বরণীয় করতে এবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের কর্তা। তিনি জানান, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ভাবনাকে মন্ডপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এবারেও এরকমই এক অভিনব ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি, শাস্ত্র মতে সব আচার অনুষ্ঠান মেনেই মায়ের পুজো হয়েছে।

img 20231114 wa0007

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের যুগে প্রবল প্রতাপশালী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিপ্লবীরা শুরু করেছিলেন মহাশক্তির আরাধনা। দেশমাতৃকার সঙ্গে মহাশক্তিকে এক আসনে বসিয়ে বঙ্গবাসীকে দিয়েছিলেন এক বিশেষ বার্তা। তারপর বহু সময় এগিয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু, সেই পুজোর প্রাসঙ্গিকতা আজও অক্ষুন্ন আছে।

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর