বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও অবধি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ এবং মৃতের সংখ্যা ৭ জন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের মতো ত্রাণ তহবিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই ত্রাণ তহবিলে যে যার মতো আর্থিক অনুদান দিয়ে সাহায্য করছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে এই সময় দাবী করেছিলেন ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ।
রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে তাই রাজ্যকে দেওয়া হল মোট ৯২৩ কোটি টাকা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বলেন, করোনা বিপর্যয় মোকাবিলার খাতের প্রথম কিস্তির টাকা পশ্চিমবঙ্গের (West bengal) জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গকে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে শুক্রবার বরাদ্দ করা হয়েছে আরও ৪১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। করোনা বিপর্যয় ছাড়াও সম্প্রতি বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া ১০৯৮ কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবী করেছিলেন ২৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেখানে এই সামান্য পরিমাণ অর্থে তাঁর মন ভরবে কিনা, তা নিয়েই এখন সংশয় তৈরি হয়েছে। আবার বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, ‘জিএসটি খাতে ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্যকে ২,৮৭৫ কোটি টাকা যেন অবিলম্বে দিয়ে দেয় কেন্দ্র। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের মহামারীর জন্য রাজ্যের কোষাগারে প্রভাব পড়েছে। ব্যবসার দিকটি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের উপর। তার উপর এখন যদি জিএসটি-র ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে দেরি, তাহলে রাজ্য আরও আর্থিক সংকটে পড়বে’।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে আরও ১৩ টি রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বাম শাসিত রাজ্য কেরলের জন্য। কেন্দ্রের তরফ থেকে কেরলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৭৬ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। করোনা মোকাবিলা করার জন্য মোট ১৪ টি রাজ্যের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ৬১৫৭ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে প্রথম খাতে দেওয়া হয়েছে ১১,০৯২ কোটি টাকা।