Bangla Hunt Desk: সোনাডিয়া আইল্যান্ড (Sonadia Island), বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্ত লাগোয়া একটি দ্বীপ। ২০০৬ সালে চীনের (China) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়েছিল সেখানে একটি বন্দর গড়ে তুলবে বাংলাদেশ, যার জন্য অর্থ যোগাবে জিনপিং-এর দেশ চীন। ১০-১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ ঋণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। কিন্তু ঋণ দেওয়া এই অর্থের ইন্টারেস্ট রেট কতটা হবে, তা কারোরই জানা ছিল না।
জিনপিং-এর প্রস্তাবে রাজী হয় শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ এই লোভনীয় অফার হাতছাড়া করতে চায়নি। নিজের দেশে কম পরিমাণে বন্দর থাকায় এবং ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বাড়াতে জিনপিং-এর অফারে রাজী হয়ে যান শেখ হাসিনা। সেইমত দুই দেশের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হয়, চীনা কোম্পানিরা বাংলাদেশের এই বন্দর গড়ে তুলতে অর্থ সাহায্য করবে। কিন্তু চীনের টার্গেট ছিল এই বন্দরের মাধ্যমেই ‘One belt one road’ গড়ে তুলতে।
মৌখিক আলোচনা হয় দুই দেশের মধ্যে
দুই দেশের মধ্যে মৌখিক কথা হলেও এই বিষয়ে কোন চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। চীনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার মাধ্যে এক বৈঠকের মাধ্যমে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। এমনকি ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ নেওয়ার বিষয়েও কথাবার্তা হয়। তবে মৌখিক কথাবার্তা হলেও, এই বিষয়ের কোন লিখিত চুক্তি করা হয়নি।
বাংলাদেশকে সতর্ক করে ভারত
জমি মাফিয়া চীনের হাত থেকে বাঁচাতে ভারত তার প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশকে এই বিরাট অঙ্কের অর্থ ঋণ নেওয়ার পূর্বে সতর্ক করেছিল। উদাহরণ স্বরূপ বলেছিল, কিভাবে চীনের থেকে অর্থ ঋণ নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার দ্বীপ আত্মসাৎ করেছিল চীন সরকার। পাশাপাশি ভারী ইন্টারেস্ট রেটএর কথাও স্মরণ করে দিয়েছিল।
চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ
প্রতিবেশি বন্ধু দেশ ভারতের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে চীনের সঙ্গে এই বিষয়ে কোন প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ সরকার। এমনকি ২০২০ সালে এই চুক্তি সম্পূর্ণ রূপে বাতিল ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। চীন সরকারের সমস্ত আশায় জল ঢেলে দেয় বাংলাদেশ।