বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। সেদেশে রীতিমতো জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন। এরই মধ্যে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশে তৈরি হল অর্থনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা। ফুরিয়ে আসছে দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। যা মজুত রয়েছে তা দিয়ে চালানো যাবে আর মাত্র মাস কয়েকই। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করল বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পর কি এবার দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশও? বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিদেশি মুদ্রার অভাব এবং নিম্নগামী দেশীয় মুদ্রা সূচকই এহেন মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে শ্রীলঙ্কায়। একই ভাবে তলানিতে এসে ঠেকেছে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও। আন্তর্জাতিক স্তরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির জেরে খরচ বেড়েছে বাংলাদেশেরও। গত বছর জুলাই মাস থেকে এই বছর মার্চ মাস অবধি কেবল মাত্র আমদানিতেই বাংলাদেশের খরচ বেড়েছে ৪৪%। ফলে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আকাশেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যয় বিপুল পরিমাণে বাড়লেও আয় বাড়েনি সেদেশের। ফলে ভয়াবহ লোকসানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার। এই ফলেই বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে চাপ। বিগত কয়েক মাস ধরেই ক্রমশ নিঃস্ব হয়ে আসছে ভাণ্ডার। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের ভাণ্ডারে জমা ডলারই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে সেদেশে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় রয়েছে এভাবে চললে তা দিয়ে আর মাত্র মাস পাঁচেকই চালানো সম্ভব হবে। এরই মধ্যে বিশ্ব বাজারে জিনিসের দাম আরও বাড়লে আরও দ্রুত জমানো অর্থ ফুরিয়ে গিয়ে খারাপ হবে পরিস্থিতি। এহেন অবস্থায় কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ভাগ্যে? এই সঙ্কট কি কাটিয়ে আবারও শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি অদূর ভবিষ্যতেই আবারও এক শ্রীলঙ্কার পুনরাবৃত্তি দেখতে চলেছে বিশ্ব? সেটাই এখন দেখার।