বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। গত ১২ মে কলকাতা আসেন পড়শি দেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম (Anwarul Azim Anar)। ১৪ মে থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। ৮ দিনের মাথায় নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের সাংসদের নিথর দেহ।
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতির অতি পরিচিত মুখ। আওয়ামি লিগের তিন বারের সাংসদ ছিলেন আনোয়ারুল (Bangladesh MP Anwarul Azim Anar)। এবার খাস কলকাতা (Kolkata) থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, ইতিমধ্যেই তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে আনোয়ারুলের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যাচ্ছে, চিকিৎসা করানোর জন্য গত ১২ মে কলকাতায় আসেন আনোয়ারুল। পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি বাংলাদেশের ওই নেতা। ১৪ মে থেকে তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এদিকে আনোয়ারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুনঃ এবার ঘুরবে ‘খেলা’! কয়লা পাচার মামলায় চরম পদক্ষেপ আদালতের, এক নির্দেশে ঘুম উড়ল সবার!
এরপর সেখান থেকে দিল্লি এবং কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আনোয়ারুলের খোঁজ শুরু হয়। এসবের মাঝেই বুধবার নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় আওয়ামি লিগের ওই সাংসদের নিথর দেহ।
জানা যাচ্ছে, কলকাতা এসে বরানগরে দীর্ঘদিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন আনোয়ারুল। দু’দিন সেখানেই ছিলেন তিনি। তবে ১৪ মে জানান, জরুরি কাজের জন্য একটু বেরোচ্ছেন, সেদিনই ফিরে আসবেন। তবে রাত পেরিয়ে গেলেও আনোয়ারুল বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান গোপাল। পরেরদিনই থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
ঘটনাচক্রে ১৪ মে থেকেই ‘সুইচ অফ’ ছিল আনোয়ারুলের ফোন। পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বিফলে যায়। এরপর পড়শি দেশের সাংসদের খোঁজ শুরু হয়। এর মাঝেই আজ নিউটাউনের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। সেই সঙ্গেই আরও একটি তথ্য বলছে, কলকাতা আসার পর একটি বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন আনোয়ারুল। সেখানে একজন মহিলা সঙ্গী সহ সাংসদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ, নিউ টাউন থানার পুলিশ এবং এইচডিএফ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুই দেশে।