বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাধারণত মন্দিরের ভিতর কোনও রকম ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয় না। পুরীর মন্দিরও তার ব্যতিক্রম নয়। মন্দিরের গর্ভগৃহে ছবি তোলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তবে আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ সে সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফেলছে স্রেফ একটু জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple)।
মন্দিরের গর্ভগৃহে ছবি তোলার অভিযোগে ২৩ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি ইউটিউবারকে গ্রেফতার করল ওড়িশা পুলিশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেছিল সে। অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশী ইউটিউবারের নাম আকাশ চৌধুরী। সে বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। ফেসবুকে গর্ভগৃহের ছবি আপলোড করার পর ভাইরাল হয়ে যায় সেগুলি।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে মন্দিরের নিরাপত্তা বিষয়ক অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। সেই মতো পুরীর সিংহদ্বার থানায় আকাশ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে আকাশের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। সোমবার সে বৃন্দাবন থেকে পুরী ফেরত আসে। এরপরেই তাকে শ্রী জগন্নাথ মন্দির আইন ১৯৫৪ এবং আইটি আইনের বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার করা হয়। যদিও আকাশকে আদালতে তোলা হলে তাকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে অজ্ঞানতা বশত ছবি তুলে ফেলেছিল বলে জানায় আদালত।
মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি ওই ইউটিউবারকে। জানা গিয়েছে, আকাশের পাসপোর্ট ও ফোনও আটক করা হয়েছে। আকাশ চৌধুরী বাংলাদেশের সিলেট জেলার পূর্ব জিন্দা বাজারের রাধাকুঞ্জ সারদা ভবনের বাসিন্দা। ইউটিউবার হওয়ার পাশাপাশি সে একটি ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতর গোপনে তার মোবাইলে কিছু ছবি তুলেছিল সে। তারপর সেগুলি ফেসবুকে শেয়ার করেছিল।
ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার পরে তা নজরে আসে মন্দিরের সেবায়েতদের। তাঁরা মন্দিরের ভিতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক সেবায়েতের বক্তব্য, পুরীর মন্দিরের ভিতর যে কোনও রকম গ্যাজেটের ব্যবহার কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তারপরেও একজন বিদেশী নাগরিক কী ভাবে ছবি তুলে নিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। দর্শনার্থীরা কেবল মাত্র সিংহদ্বার দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। মন্দিরের ভিতরেও নানা জায়গায় পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়ে। সেখানে এমন একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।