বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৮ সালের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনায় অবশেষে মিলল বিচার। নারী ও শিশু পাচার, হোটেলে আটকে রেখে দেহব্যবসা চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগে চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাকপুর আদালত (Barrackpore Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে কৃষ্ণ দে, মণীন্দ্রনাথ আদগিরি, বুলু নিয়োগী ও রাখি ঘোষ, এই চার অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সিআইডি-র অভিযানে ফাঁস হয়েছিল চক্র, গ্রেফতার হয় ১৩ জন
ঘটনাটি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের। সিআইডি-র অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় দমদমের মাঠকল এলাকার একটি হোটেলে। অভিযোগ ছিল, সেখানে একাধিক নারী ও নাবালিকাকে আটকে রেখে তাদের দিয়ে দেহব্যবসা করানো হচ্ছিল। অভিযানে সিআইডি উদ্ধার করে ২ জন নাবালিকা ও ৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে। গ্রেফতার হয় মোট ১৩ জন। পরে ৯ জন জামিনে ছাড়া পেলেও বাকি ৪ জনের জামিন মঞ্জুর হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’ শুরু হতেই ক্ষোভ! ৩৫ বছরের পুরনো রাস্তার দাবি তুলে সরব ভবানীপুরবাসী
সাড়ে সাত বছরের আইনি লড়াই শেষে সাজা ঘোষণা আদালতের (Barrackpore Court)
সাড়ে সাত বছরের আইনি লড়াই শেষে বারাকপুর আদালতের (Barrackpore Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (এডিজে), মৌ চট্টোপাধ্যায় বুধবার ওই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায়। সরকারি কৌঁসুলি অসীম দত্ত জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চার্জশিটে তথ্য নেই, যুক্তি নেই, নাম নেই! অভিজিৎ খুন মামলার তদন্তে হাইকোর্টে ধমক খেল সিবিআই, কল্যাণ বললেন….
উল্লেখ্য, চারজন দোষীর মধ্যে কৃষ্ণ দে খড়দহের বাসিন্দা, মণীন্দ্রনাথ আদগিরি জগদ্দলের, বুলু নিয়োগী উত্তরপাড়ার ও রাখি ঘোষের বাড়ি টিটাগড় থানা এলাকায়। তদন্তকারীদের দাবি, এরা সকলে মিলে একটি সংঘবদ্ধ নারী ও শিশু পাচার চক্র চালাত।