বাংলা হান্ট ডেস্ক:আগেই সমস্ত বিদেশী এবং বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থাগুলির তরফ থেকে নিশ্চিতভাবে জানানো হয়েছিল যে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে একটি ঘূর্ণিঝড় নাম ‘বুলবুল’। ইতিমধ্যেই এই নিম্নচাপটি তৈরি হয়ে গেল উত্তর আন্দামান সাগরে।
যদিও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপ এখন ক্রমশ নিজের শক্তি বৃদ্ধি করবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অন্ধপ্রদেশ উপকূলের দিকে ক্রমশ আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।
এই নিম্নচাপটি যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিদেশীআবহাওয়া সংস্থাগুলি।তবে তাদের কাছে অনিশ্চয়তায় ব্যাপারটি হলো, এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ।
উত্তর অন্ধপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম থেকে বাংলাদেশের বরিশাল পর্যন্ত উপকূলবর্তী অঞ্চলের দিকে নজর রাখছে আবহাওয়াবিদরা কারন তাদের ধারনা, যেকোনো সময় নিজের দিক পরিবর্তন করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আবার বেশ কিছু আবহাওয়াবিদ দাবি করেছেন, এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও স্থলে আসার আগে শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলতে পারে।
তবে যাই হোক না কেন, বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এই বিষয়ে নিশ্চিত আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে জানা যাচ্ছে, আগামী শনিবার ৯ই নভেম্বর থেকে সামনের সপ্তাহের মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ ই নভেম্বর পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যে ঝড় বৃষ্টি চলতে পারে।দক্ষিণবঙ্গের মূলত এই ঝড় বৃষ্টির প্রভাব বেশি পড়বে। উত্তরবঙ্গে এর প্রভাব কম থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
যদিও একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে নাও পড়তে পারে। তবে এর প্রভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। সময়ের সাথে সাথে নিম্নচাপটি আরি শক্তিশালী হলে এর সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। সম্ভবত, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাকাপাকি ভাবে ধারনা করা যাবে কোথায় সরাসরি আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।