বাংলা হান্ট ডেস্ক : নির্বাচন (Panchayat Election) যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নির্বাচনকে ঘিরে শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শীতলকুচি। গভীর রাতে এক তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শীতলকুচি ব্লকের লালবাজারে। লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৮ নম্বর বুথের সভাপতি খবির হোসেন মিয়া পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছেন।
অভিযোগ উঠছে, গভীর রাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন খবির মিয়া। সেই সময় সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। খবির হোসেন মিয়ার হাত-পা ও চোখ বেঁধে তার উপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ শীতল কুচি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপনকুমার গুহর। সকালে এই খবর জানাজানি হতেই লালবাজার বটতলা এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
অবরোধে নেতৃত্ব দেন তপনবাবু। তিনি বলেন, ‘খবির হোসেন মিয়াকে রাতের অন্ধকারে হাত-পা বেঁধে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। ঈশ্বর সহায় থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ এই অবরোধ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শীতলকুচি থানার পুলিস। এদিকে দিনহাটার সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। বিরোধীদের অভিযোগ, বিডিও অফিস কার্যত দখল করে রেখেছে তৃণমূল। বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। তাঁদের জামাকাপড় ছিঁড়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
এই খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সাহেবগঞ্জে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। তাঁকে এলাকায় ঢুকতে পুলিস বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নিশীথ।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ, বলেন, ‘পুলিস তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রয়েছে নিশীথ অধিকারীকে। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়েই।