উহানে আসার আগে করোনা বিশ্বের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে গেছিলঃ দাবি চীনের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19), বিগত কয়েক মাস ধরে সমগ্র বিশ্বে হাহাকার সৃষ্টি করেছে এই মারণ ভাইরাস। বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগের কবলে প্রাণ হারিয়েছেন। মানুষের জীবনের গুরুত্ব অনেক, কিন্তু তার থেকেও বড় ক্ষতি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিগত কয়েক মাস ধরে এই ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফরামের পক্ষ থেকে কেমব্রিজের একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে এই লকডাউনের জেরে আগামী ৫ বছরে বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রায় ৮২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। লকডাউনের ফলে কর্মীহীন হয়ে পড়েছেন বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ। যার ফলে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি ভবিষ্যতে নিজেদের দেউলিয়াও ঘোষণা করে দিতে পারে।

empty ny rc

শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি নয়, আগামী সময়ে বিশ্বের মানুষ খাদ্য সংকটেও পড়তে পারে। করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের ফলে বিভিন্ন কর্ম সংস্থান বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি, খাদ্যের উৎপাদনও অনেক কমে গেছে। যার জেরে মানুষ আগামী সময়ে না খেয়ে পেয়ে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে পারে।

এই মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য চীনকে (China) দায়ী করেছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ আরও বিভিন্ন বড় বড় দেশ। চীনের বিরুদ্ধে সকলে দোষারোপ করায় বর্তমানে এক নতুন ফন্দি এঁটেছে চীন সরকার। বর্তমান সময়ে চীন দাবী করেছে, করোনা ভাইরাস প্রথম চীনে শুরু হয়নি এবং এর সপক্ষে আমাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণও আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুরু হলেও, এই মহামারি রোগের বিষয়ে প্রথম জানিয়েছিল চীন। পাশাপাশি বিশ্বকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউন জারি করেছিল।

10736466 16x9

সেইসঙ্গে চীনের বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছিল। চীনের উহান ল্যাব থেকে অথবা সি ফুড মার্কেট থেকে ছড়ায় নি। চীন সর্বপ্রথম এই রোগের বিষয়ে গোটা বিশ্বকে অবগত করেছিল। চীনের এই রিপোর্টের মাধ্যমেই সমগ্র বিশ্বের সিংহ ভাগ মানুষ সুরক্ষিত আছেন।

এদিকে আবার বিগত কয়েক মাস ধরে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোলান্ড ট্রাম্প এই করোনা ভাইরাসের মহামারির জন্য চীন সরকারকে দোষারোপ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি একজন চাইনিজ চিকিৎসকও একাধিক রিসার্চ পেপার দেখিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে করোনা ভাইরাস চীন থেকেই শুরু হয়েছিল।

আবার WHO চীনে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে, প্রথম দিকে চীন সরকার রাজি না হলেও, পরবর্তীতে রাজী হন। কিন্তু বর্তমান সময়ে চীনে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে চীনকে এখন এটা প্রমাণ করতে হবে, এই করোনা ভাইরাস চীন থেকে ছড়ায়নি এবং পরবর্তীতে এই ধরণের মারাত্মক রোগ চীন থেকে ছড়াবেও না।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর