বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: জমে উঠেছে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে লড়াই। গতকাল ইন্দোরে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে অনুষ্টুপ ও সুদীপের শতরানে ভর করে দিনের শেষে ৪ উইকেট খুঁইয়ে ৩০৭ রান তুলেছিল বাংলা। আজ সেখান থেকে ইনিংস শুরু করে দিনের শুরুতেই তারকা অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদকে খোয়াতে হয় তাদের। কিন্তু তারপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মনোজ তিওয়ারি ও অভিষেক পোড়েল। মনোজ অত্যন্ত ধীরগতিতে রান তুলছিলেন এবং অভিষেক সুযোগ পেলেই বোলারদের আক্রমণ করছিলেন।
তাদের মধ্যে ৭৮ রানের পার্টনারশিপ হওয়ার পর অভিজ্ঞ স্পিনার কুমার কার্তিকেয়র বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪২ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মনোজ। এরপর চলতি মরশুমে নিজের প্রথম অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন অভিষেক পোড়েল। কিন্তু প্রদীপ্ত প্রামাণিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় তাকে ৫১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে।
কিন্তু অভিষেক আউট হওয়ার পর আর প্রতিরোধ করতে পারেনি বাংলার লোয়ার অর্ডার। একসময় মনে হচ্ছিল সহজেই ৫০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করবে বাংলা। কিন্তু শেষ পাঁচ উইকেট তাদের হারাতে হয় মাত্র ৩৫ রানের ব্যবধানে। কুমার কার্তিকেয়র স্পিন সামলাতে পারেনি বাংলার লোয়ার অর্ডারের ক্রিকেটাররা। ৪৩৮ রানে শেষ হয় বাংলার ইনিংস।
এরপর এক প্রান্ত থেকে স্পিনার শাহবাজ আহমেদ এবং অপর প্রান্ত থেকে পেসার মুকেশ কুমারকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ। দুই বোলারই অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করেছেন এবং মধ্য প্রদেশকে একবারও বড় শট খেলার সুযোগ দেয়নি। কিন্তু উইকেটে আসছিল না তাদের ঝুলিতে।
এরপর বোলিং এ পরিবর্তন করে আকাশদীপকে আক্রমণে আনেন মনোজ। সাম্প্রতিক সময়ের তিনি দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। সেই ছন্দেরই প্রতিফল স্বরূপ তিনি ওপেনার যশ দুবেকে ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট করেন। কিন্তু এরপর ফের রান আটকে রাখলেও উইকেট আসছিল না। ২৪ তম ওভারে ঈশান পোড়েলকে আক্রমণে আনা হয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই হিমাংশু মন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন তিনি। অনুষ্টক মজুমদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মন্ত্রী। দিনের শেষ বলে প্রদীপ্ত প্রামানিক একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু উইকেটরক্ষক অভিষেক বা স্লিপে দাঁড়ানো মনোজ কেউই ক্যাচ নিতে না পারায় দ্বিতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬। এখনও ৩৮২ রানে এগিয়ে বাংলা।