বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতির ওষুধেই হল কাজ। দুমাসেও যা হয়নি তা হল মাত্র চার ঘন্টায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি দিতেই ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিকের ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)।
ঠিক কি হয়েছিল?
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে বসেন চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। প্রথমে পর্ষদ জানায়, পরীক্ষায় পাশ করেননি তিনি। এদিকে ২০২২ সালে এসে পর্ষদ টেটে ৯২% নম্বর পেয়ে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন পল্লব। এই খবর জানা মাত্রই চাকরির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই প্রার্থী।
বিচারপতির কড়া ডোজ
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি উঠলে চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে দুমাস কেটে গেলেও কোনই সুরাহা হয়নি। এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল না সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কবে পাবেন TET পরীক্ষার অ্যাডমিট? তারিখ জানিয়ে দিল পর্ষদ, এই ভাবে সহজেই করুন ডাউনলোড
বিচারপতি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেনি। এরপরই বিচারপতি বলেন, ৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হলে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। সময়সীমাও বেঁধে দেন বিচারপতি। শুক্রবার দুপুর ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে বিচারপতি আগে যেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তা পর্ষদকে মানতে হবে বলে জানান।
বিচারপতির হুঁশিয়ারিতেই টনক নড়ল পর্ষদের। নির্ধারিত সময়ের আগেই পদক্ষেপ করল পর্ষদ। দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটে ওই প্রার্থীর ইন্টারভিউ শুরু হয়। অ্য়াপটিটিউড টেস্টও নেয় পর্ষদ। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। পর্ষদকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ের ফলাফল, ভিডিওগ্রাফি আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।