বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এভারেস্ট সহ আরও একাধিক উচ্চতর শৃঙ্গ জয় অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে বাড়ি ছেড়েছিলেন একসঙ্গে অন্নপূর্ণা এবং মাকালু জয়ের উদ্দেশ্যে। এপ্রিল মাসে সফলভাবে অন্নপূর্ণার চূড়া ছুঁয়ে দেখেছিলেন। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে তাকে মাকালু না জয় করেই ফিরে আসতে হয়েছিল তখন। কিন্তু অদম্য জেদ ও ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে অনেক কঠিন পরিস্থিতি থেকেও অনেক অসম্ভব এর শামিল কাজকে সম্ভব করে তোলা যায় সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন চন্দননগর নিবাসী বঙ্গ পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক (Piyali Basak)।
আজ সকালেই বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাকালুর চূড়ায় সফলভাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন পিয়ালী। নেপালের এজেন্সি পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে। ৯ই মার্চ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য। তারপরে তাকে কি সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল সেটা আগের অনুচ্ছেদেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের টান যেন অমোঘ। সেই টানকে সম্বল করেই এই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন পিয়ালী।
কিছুদিন আগেই অক্সিজেন ছাড়া সেই অন্নপূর্ণা শৃঙ্গটি জয়ের চেষ্টা করেছিলেন পিয়ালী। কিন্তু প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য পৃথিবীর দশম উচ্চতম শৃঙ্গে আরোহন সেবার সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। কিন্তু তিনি নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি তিনি। শেষপর্যন্ত কয়েকমাস বেশি অপেক্ষা করতে হলেও নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যে গত মাসেই পৌঁছতে পেরেছিলেন তিনি।
গত বছর মে মাসে তিনি এভারেস্ট জয় করেছিলেন এবং তার চার দিন পর পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে-তে আরোহণ করেছিলেন। অত অল্প দিনের মধ্যে এমন কীর্তিকলায় তখনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন। অনেকেই সেই সময় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আগের বছর বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম শৃঙ্গগুলির মধ্যে একটি, লোৎসে জয় করেছিলেন তিনি। এর আগে বাংলার বিখ্যাত মহিলা পর্বতারোহী ছন্দা গায়েন এভারেস্ট জয়ের পর লোৎসে জয় করতে গিয়ে ব্লিজার্ডের শিকার হয়ে চিরকালের মতো হারিয়ে গিয়েছিলেন। লোৎসের আরোহণ পথ খুবই দুর্গম। কিন্তু আবহাওয়া ভালো হওয়ায় পিয়ালী আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে। প্রসঙ্গত লোৎসে হলো বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ।