বাংলা হান্ট ডেস্ক : হইচই (hoichoi) কথাটা শুনলে যেন কেমন শরীর গরম হওয়ার জোগাড়। যদিও শব্দটির সঙ্গে পরিচিতি আমাদের সেই জন্মলগ্ন থেকে। কারণ হইচই-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়েই তো ছেলেবেলা কেটেছে। কিন্তু সেই হইচই আর এই হইচইয়ের মধ্যে যে আকাশ পাতাল তফাত।
এই হইচই-এর সঙ্গে আমাদের পরিচিত মাত্র কয়েকবছরের, কিন্তু তাতেই আইবুড়ো থেকে বিবাহিত নারী পুরুষদের কাছে এই হইচই শব্দটিই দুপুরে একাকীত্ব কাটানোর অন্যতম সঙ্গী। যদিও সেক্স অ্যাপিলের জন্য হই চই আলাদা প্রাধান্য পেয়েছে। কারণ, সিনেমার প্রেম ছেড়ে মাত্র আধ ঘণ্টার সিরিজের প্রতি জৈবিক আবেদনের জন্য ই ভিড় জমাচ্ছেন সকলেই।
এমনই পাঁচ হইচই (hoichoi) ভিডিও যা সকলের শরীরের উষ্ণতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে, দেখে নিন সেগুলি-
যার অন্যতম কারণ হল হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ দুপুর ঠাকুরপো। এমনিতেই বউদিদের সঙ্গে পাড়ার ঠাকুরপোদের একটা আলাদা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকেই। যা স্বামী কিংবা বউয়ের মধ্যে শেয়ার করা যায় না। তাই এই হইচইয়ের দুপুরের ওয়েব সিরিজের গুরুত্বটা যেন একটু হলেও বেশি। পাড়ার দুষ্টু দেওরদের সঙ্গে বউদির ভাব জমানো এবং দাদার অনুপস্থিতির সময় হট বউদির যৌন মনোবাসনা পূর্ণ করার জন্য দেওরদের হইচই নিয়ে তৈরি হয়েছে দারুন গল্প।
তবে দুপুর ঠাকুরপো (Dupur Thakurpo ) সূচনা বলা যায় কারণ জাপানি টয় (Japani Toy)এই ছবিকে নাবালক থেকে সাবালক করে দিয়েছে। যেখানে দুই বাঙালি দম্পতি জৈবিক চাহিদার জন্য কী ভাবে আমাদের জীবনকে সোয়াইপ করে ফেলবে তা দেখানো হয়েছে।যেখানো যৌনতার উত্তেজনা বেড়েছে বহুগুণে। সেক্স নিয়ে যে হিপোক্রিসি রয়েছে তার গোড়ায় কোপ দিয়েছে হইচইয়ের এই ওয়েবসিরিজ টাপানি টয়। সেক্স টয় ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করেছেন পরিচালক। আসলে সেক্স নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে মানুষের এখনও অবধি আপত্তি রয়েছে যা কাটাতেই এই ভাবনা।
তবে তার থেকে কোনও অংশে কম যায় না মিস ম্যাচ (mismatch)। জাপান তার থেকে আরও বেশি সাবালকত্বের পরিচয় দিয়েছে এই মিস ম্যাচ। বর্তমানে যেভাবে দাম্পত্য কলহ বেড়েছে তার অন্যতম কারণ হল সেক্স লাইফ। সেক্স লাইফে সন্তুষ্ট না হয়ে অন্যে সঙ্গি বা সঙ্গিনী বেছে নন নারী পুরুষ উভয়েই। কারণ, বেঁচে থাকার অন্যতম রসদ বলা হয় সেক্সকে। আর সেটা যদি ঠিক ঠাক না হয় তাহলেতো সমস্যা লেগেই থাকে। তাই সেসব কথা মাথায় রেখে হইচই মিসম্যাচ শুরু করেছে। যেখানে রোম্যান্সের পাশাপাশি হাসি তো থাকছেই। ইতিমধ্যেই মিস ম্যাচের এক ও দুই নম্বর সিকুয়েল মুক্তি পেয়েছে।
এছাড়া হইচইয়ের আরও একটি সাহসী সিরিজ চরিত্রহীন (Charitraheen)। যদিও কনফিউজস কিন্তু রসালোবোধে একশোয় একশো পাওয়ার আশা রাখে। অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে যেতে চায় না স্ত্রী, অথচ স্বামীর আশা অন্য সংসার বাঁধুক স্ত্রী। স্ত্রী না চাইলেও সেক্স লাইফের চাহিদায় অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলবন্ধন নিয়ে হইচইয়ের চরিত্রহীন। একজন সতী সাবিত্রী স্ত্রীও শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্ কিভাবে অন্য পুরুষের শরনাপন্ন হলেন তা নিয়ে গল্পের মোড় ঘুরেছে।
অন্যদিকে হইচইয়ের (Hoichoi ) আরও একটি যৌনতা সম্পূর্ণ সিরিজ হল হ্যালো (Hello)। যেখানে এক ব্যক্তির স্ত্রী থাকার সত্ত্বেও বাইরের মহিলার সঙ্গে লাগামছাড়া যৌন সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছিল নেট পাড়ায়। স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীর শরীরী গন্ধ কিভাবে আকর্ষণ করে তা দেখানো হয়েছে সিরিজে। এককথায় পরকীয়ায় মত্ত হয়ে উষ্ণ আবেদন কিভাবে প্রাধ্ন্য পেয়েছে তা হ্যালোর গল্পে স্থান পেয়েছে।
আসলে এখন হইচই নিয়ে হইচই পড়েছে নেট পাড়ায়। যেভাবে স্বস্তিকা দুপুর ঠাকুরপোয় মাখো মাখো যৌন আবেদন দিয়ে সিরিজের সূচনা করেছিলেন এখন দর্শকদের চোখ আটকে রয়েছে সেই হইচইয়ের সেক্স অ্যাপিল সিরিজ গুলির দিকে।