বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাজির রয়েছেন দলের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক। জোরকদমের চলছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মিছিল। ঘন ঘন উঠছে স্লোগান। উৎসাহ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এমন সময় নজরে এল, বিজেপির (Bharatiya Janata Party) পদ্ম পতাকা হাতে নিয়ে ওই মিছিলে হাঁটছেন এক ব্যক্তি! তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ দলীয় নেতৃত্বের। ইতিমধ্যেই দুএকটা মোবাইল বেরিয়ে এসে ক্যামেরাবন্দীও করে নিয়েছে এই দৃশ্য।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূলের মিছিলের এই ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনায় আবার তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বামেরা। তাঁদের দাবি ‘সেটিং তত্ত্ব’-র জেরেই এই দৃশ্য দেখা গেছে। সিপিএমের বক্তব্য, তাদের ‘যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল’ তত্ত্ব আবারও প্রমাণিত হল!
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তার পর থেকেই এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতেই রবিবার মিছিলের ডাক দিয়েছিল শাসক তৃণমূল। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম।
বড়ঞার করালি তলা মোড় থেকে বাহাদুরপুর মোড় পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলেই বিজেপির পতাকা হাতে এক ব্যক্তি দেখা গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তির হাত থেকে পতাকা কেড়ে নেওয়া হয়। তত ক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলকে কটাক্ষ করেছেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য তথা মুর্শিদাবাদের বাম যুব নেতা সন্দীপন দাস বলেন, ‘যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল! এ মিছিল আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।’ এদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, ‘ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। রাস্তার পাশে পড়ে বিজেপির একটা পতাকা পড়ে ছিল। সেটা নিয়েই উনি হাঁটতে শুরু করেন। চোখে পড়তেই সেটা সরিয়ে দিই আমরা।’
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা