প্রথম ৪ দফায় ১০০ আসন বিজেপির ঝুলিতে, দলীয় সমীক্ষায় চওড়া হাসি বাংলার নেতাদের মুখে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যে চার দফার ভোট (West Bengal Election) সম্পন্ন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। আরও বাকি চার দফার নির্বাচন। প্রথম চার দফায় রাজ্যের ১৩৫টি আসনে ভোট নেওয়া হয়ছে। আর ওই ১৩৫টি আসনে ভোটের সম্ভাব্য ফল কী হতে পারে? তা নিয়ে বিজেপির (bharatiya janata party) রাজ্য দফতরে জমা পড়া বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে অঙ্ক কষা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে ২০০ আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেছেন। আরেকদিকে, প্রথম তিন দফার ৯১ টি আসনের মধ্যে ৬৫ থেকে ৮০টি আসনে বিজেপি জয় পাবে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

amit shah 30

আরেকদিকে, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পিছিয়ে নেই। তিনিও দাবি করেছেন যে, প্রথম চার দফার প্রায় সবকটি আসনেই তৃণমূল বিজেপিকে গোল দিয়ে দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলের দাবির মধ্যে বিজেপির বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্টে চওড়া হাসি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে। বুথভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফলের হিসেব কষার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম আছে। সেই ফর্মে বিজেপি এবং অন্য দলের প্রার্থীদের সম্ভাব্য প্রাপ্ত ভোটের উল্লেখ করতে হয়। এবার সেই ফর্ম আসা শুরু হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে।

BJP Flag PTI

দলীয় বুথফেরত সমীক্ষায় উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের আশানুরূপ ফল হবে বলে মনে করছেন বিজেপির নেতারা। রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ‘প্রথম চার দফার ১৩৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। আমাদের দলীয় সমীক্ষা অনুযায়ী, ওই ১৩৫টি আসনের মধ্যে ৯০ থেকে ১০০ আসনে আমরা জয়লাভ করব।” বিজেপির বুথভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে দলের মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকেও বিস্তৃতি রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।

pratap banerjee

গেরুয়া শিবিরের এক জেলা সভাপতির মতে, ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে প্রথম চার দফার ১৩৫টি আসনের বুথভিত্তিক সম্ভাব্য ভোট পাওয়ার রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবং তা রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের পাঠানোও হয়েছে। এই রিপোর্ট বুথ সভাপতি, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ এবং বুথ পালকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভোটারদের মন বুঝতে, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে কি না, সেটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন বুথস্তরের নেতারা।

BJP Flag 5

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যের ১৬৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল। আর বিজেপি এগিয়েছিল ১২১টি আসনে। লোকসভা নির্বাচনের মতো একই ভাবে যদি ভোট পায় বিজেপি, তাহলে তাঁদের সরকারের আসা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে লোকসভা ভোটের থেকেও যে ভালো ফল করতে হবে তা ভালো মতই জানে রাজ্যের নেতারা। আর উনিশের থেকে ভালো ফল করার জন্য তাঁরা কোমর বেঁধে মাঠেও নেমে পড়েছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে? সেটা ২ মে-তেই জানা যাবে।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর