বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘যাদবপুর বাঁচাও’ মিছিল। পথে বিজেপি যুবমোর্চা ও এবিভিপি (ABVP)। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এবিভিপির। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে আটক বেশ কয়েক জন এবিভিপি সমর্থক। জানা গিয়েছে, গোলপার্ক থেকে যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল হবে। মিছিলের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Pal)।
মিছিল করে ABVP : আদালতের নির্দেশে শুক্রবার যাদবপুরে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার মিছিল নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু তার আগে এদিন মিছিল করে এবিভিপি। মিছিল কিছুটা এগোতেই আটকে দেয় পুলিস। পুলিসকর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। অভিযোগ, মহিলা বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন পুরুষ পুলিসকর্মীরা।
মিছিল করে যাদবপুর ঢোকে BJP-র যুবমোর্চাও : তার রেশ কাটতে না কাটতেই গোলপার্ক থেকে শুরু হয় যুব মোর্চার মিছিল। বিজেপির যুব মোর্চার তরফে এই মিছিলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। গত মিছিলের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে ছেয়ে ফেলা হয় পুলিসে। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ, আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিসহ তাবড় বিজেপি নেতা। বৃষ্টির মধ্যে এই মিছিলে যুব মোর্চার নেতা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কী বলেন শুভেন্দু? মিছিলের শুরুতে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিতে আমরা নেমেছি। এই ডান্ডা আরও মোটা হবে প্রয়োজনে। মাওবাদ – নকশালবাদ চলবে না। পাকিস্তানের দালালি যাদবপুরে চলবে না। যাদবপুরে রাষ্ট্রবাদ চলবে, জাতীয় পতাকা উড়বে। নকশালবাদ – মাওবাদ হুঁশিয়ার।’
কী হয় সেদিন যাদবপুরে? এর পর যখন শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোতে শুরু করেন, সেই সময় ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান বেশ কয়েকজন। এদিকে ওই মুহূর্তে শুভেন্দু-র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল সেদিন। অশান্তি-র আবহেই হঠাৎ এই যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মারামারি বেঁধেছিল। বিজেপি এবং যুব মোর্চার সদস্যদের লাথি, ঘুষিতে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর নাক-মুখ ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করেছিল।
শুভেন্দুর হুংকার : এই ঘটনায় অতি-বাম নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। যাদবপুরের ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘ আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার গার্জেন তাঁদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের।’