বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগেই ইডি (Enforcement Directorate) সিবিআই (Central Bureau of Investigation) একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে। কখনও দিল্লির সদর দফতরে, কখনও বা কলকাতা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাকে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই অভিষেককে বলতে শোনা গেছে, বিজেপি (Bharatiya Janata Party), ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
রবিবার আরও একবার এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বললেন, ‘মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের মতো আমাকেও ভাঙানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এভাবে আমাকে দমানো যাবে না।’
রবিবার ডায়মন্ড হারবারের ফলতায় একটি রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজের এলাকায় কী কী কাজ হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে এই মঞ্চ থেকে। জল, কল, রাস্তা— ৯ বছরে অভিষেক সাংসদ থাকাকালীন কী কী কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিনের মঞ্চ থেকে মূলত বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে না ওঠে, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। একুশের নির্বাচনের থেকে পঞ্চায়েতে বিজেপির থেকে ব্যবধান বাড়বে তৃণমূলের। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের থেকে চব্বিশে ব্যবধান আরও বাড়বে। এবার সব জেলা পরিষদ তৃণমূল জিতবে।’
এরপরই অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ইডি-সিবিআই ব্যবহার করে নিজেদের দলকে শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়। যেমনভাবে মুকুল রায়, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারী এদের ভাঙিয়ে নিয়ে গেছে, একইভাবে চেষ্টা করছে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাঙাও, নইলে বসাও, নইলে জেলে ঢোকাও।’
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমি যতদিন রাজনীতি করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করব। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরবে। আমরা অন্য ধাতুতে তৈরি, আমরা বেইমান নই। আর যেদিন রাজনীতি করব না, সেদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাব।’