বাংলাহান্ট ডেস্ক: বয়স মাত্র ২১। সামনে পড়ে অর্ধেকেরও বেশি জীবন। এত কম বয়সেই জনপ্রিয়তা, পরিচিতি। তবুও লাইমলাইটের বদলে অন্ধকারকেই বেছে নিলেন বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder)। কেন? আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন পুলিস থেকে পরিবারের সদস্যরা।
টলিপাড়ার উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রী ছিলেন বিদিশা। বুধবার, ২৫ মে নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে একটি সুইসাইড নোট, যাতে লেখা পেশাগত চাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি বিদিশা।
তাতে অবশ্য থেমে নেই গুঞ্জন, চর্চা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরপরই সামনে এসেছে তাঁর প্রেমিক অনুভব বেরার নাম। সম্পর্কের টানাপোড়েনের মতো বিষয়ও প্রকাশ্যে এসেছে। চলছে কাটাছেঁড়া, পুলিসি তদন্ত। বিদিশার মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ খুঁজতে ব্যস্ত সবাই।
আর এই সবকিছুর থেকে দূরে ভাটপাড়া ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। শুধু থেকে থেকে উঠছে কান্নার রোল। বাড়িটা মৃত অভিনেত্রী বিদিশার। মেয়ের শোকে বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছেন তাঁর মা। এই চরম সিদ্ধান্তের কারণ কী? উত্তর নেই হতভাগ্য বাবা মায়ের কাছে।
বিদিশার বাবার এক বন্ধু সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নাগেরবাজারের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন অভিনেত্রী। আসলে মডেলিং এর কাজ থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যেত তাঁর। মেয়ে অত রাতে একা একা ফিরবে। তাই স্টেশনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন বাবা।
শেষে বিদিশাই সিদ্ধান্ত নেন বাবার কষ্ট লাঘব করতে তিনি কলকাতায় গিয়ে থাকবেন। প্রতিবেশীরা জানান, বিদিশা নাকি বরাবরই খুব চাপা স্বভাবের মেয়ে ছিলেন। খুব ভাল ছবি আঁকতেন। আঁকা নিয়ে এগোলেও খুব উন্নতি করতেন বিদিশা। অভিনয় জগতেও নাম হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তিনি তা কেউই বুঝতে পারছেন না।
অন্যদিকে বিদিশার বান্ধবী দিয়া জানিয়েছেন গত পাঁচ মাস ধরে নাকি সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হত। এমনকি মৃত্যুর আগের দিনও কথা হয়েছিল দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে। সংবাদ মাধ্যমকে সেই কথোপকথন দেখিয়েছেন দিয়া।
সেখানে বিদিশা লিখেছিলেন, প্রেমিক অনুভবকে তিনি খুব ভালবাসেন। তাঁকে ছাড়া বাঁচবেন না। এদিকে দিয়ার দাবি, অনুভবের নাকি একাধিক সম্পর্ক ছিল। আর সেকথা জানার পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বিদিশা।