মমতার ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’এ এল বিরাট বদল! দারুন সুযোগ করে দিল নবান্ন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar) নিয়ে সামনে এল বড় খবর। এবার থেকে মাসিক ৫০০ টাকা অথবা ১০০০ টাকা পেতে আর কোনোরকম কসরতেরই প্রয়োজন হয়না। এবার থেকে রাজ্যের মহিলারা খুব সহজেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে পারবেন। সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনে বড় বদল নিয়ে এসেছে নবান্ন। নতুন আপডেট শুনলে খুশিতে নেচে উঠবেন আবহাওয়া।

একথা তো সকলেই জানেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্পের মধ্যে একটা হল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। আসলে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলারা মাসিক হাত খরচ হিসেবে ৫০০ এবং ১০০০ টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মত মসনদে বসার পর। তারপর থেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সৌজন্যে মাসিক ৫০০ এবং ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা। এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হয় ২৫ বছর। এবং বয়সের সর্বোচ্চ সীমা হল ৬০ বছর।

আরও পড়ুন : বড় খবর, দীর্ঘ ৮ বছর পর ফের একবার একসাথে ‘ইষ্টি কুটুম’ জুটি! এই সিরিয়ালে ফিরছেন ঋষি-অঙ্কিতা

তবে এতদিন একটা সমস্যার সম্মুখীন হতেন রাজ্যের মহিলারা। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে হত। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ছাড়া আর অন্য কোথাও এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হতনা। তবে এবার আর সেই সমস্যা রইলনা। রাজ্যের মহিলাদের জন্য নবান্ন নিয়ে এল বড় সুযোগ।

আরও পড়ুন : দীপাবলির উপহার, নির্বাচনের আগে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেবে সরকার! প্রকাশ্যে বড় খবর

1651783699 lakshmi bhandar

সম্প্রতি নবান্নের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে, এবার থেকে আর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা। এবার থেকে বছরের যে কোনও সময়ই লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবে রাজ্যের মহিলারা। তবে এটার জন্য আবেদনকারীদের যেতে হবে বিডিও অফিসে। আর যারা শহরাঞ্চলের বাসিন্দা তাদের যেতে হবে এসডিও অফিসে। আর যারা পৌর নিগম এলাকায় বসবাস করেন তারা আবেদন করতে পারবেন পৌরসভায়।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর